কুপ্রস্তাব বৌদিকে ! রাজি ‘না’ হওয়ায় শেষ অবধি যা হল দুর্গাপুরের বাড়িতে..

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


পশ্চিম বর্ধমান:   এযেনও অদ্ভুত এক আঁধার গ্রাস করেছে আমাদের চারপাশকে! নাবালিকা থেকে তরুণী, কিশোরী থেকে গৃহবধূ, লালসার হাত থেকে কারোরই যেন রেহাই নেই! হাসপাতাল, পরিত্যক্ত জমি, ধানখেত, নদীর চর, মণ্ডপ, নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে নারীর নিথর দেহ। সবচেয়ে উদ্বেগের হল দীর্ঘ হয়েই চলেছে এই তালিকা। আর আবার সামনে এক বিস্ফোরক অভিযোগ। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়ির উঠোনেই বৌদিকে কুপিয়ে খুন। দুর্গাপুর নিউটাউনশিপ এলাকায় চাঞ্চল্য। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দেওর। 

এদিকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন মা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের সিল করার পর ধৃতের বাড়ির পাঁচিল ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের আত্মীয়-পরিজনেরা। ইতিমধ্যেই বৌদিকে খুনের অভিযোগে দেওরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে শুধু দুর্গাপুরই নয় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ভুরিভুরি অপরাধের ঘটনার সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গ।

সম্প্রতি কেষ্টপুরেও এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ঘটেছিল নৃশংস খুনের ঘটনা। কিনারাও করেছিল বাগুইআটি থানার পুলিশ। নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিহত মহিলার ফেসবুক ফ্রেন্ড কৌশিক সাহাকে। মৃতের নাম অভিষিক্তা দে সাহা। পুলিশ সূত্রের খবর এসেছিল, কেষ্টপুরের রবীন্দ্র পল্লিতে স্বামী ও ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা। বিউটি পার্লারে কাজ করতেন অভিষিক্তা।মাসকয়েক আগে কৌশিকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়েছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে টানাপোড়েন। গতকাল মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন। মহিলার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্তকে।

অতীতে একাধিক ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় দ্রুত মৃতদেহ দাহ করার ইস্যু উঠেছে। একাধিক মামলা রাজ্য পুলিশের হাত থেকে স্থানান্তরিত হয়ে,  কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গিয়েছে। এবং সেই সকলক্ষেত্রে মৃতদেহ দাহ করলে, আর পুনরায় ময়না তদন্তের সুযোগ থাকছে না। যদিও এর মধ্যে কিছু ব্যতিকর্মী ঘটনাও রয়েছে। যেখানে কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এদিকে সদ্য ঘটে যাওয়া আরজি কর কাণ্ডে এখনও প্রতিবাদের ঝড় দিকে দিকে। 

আরও পড়ুন, শিশুর শরীরে ‘ভুল ইনজেকশন’ ? শূন্য হল কোল ! ‘মা’ বলে যে কেউ ডাকবে না আর..

সম্প্রতি সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওতে। সরল শিশুকে চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার সঙ্গে নারকীয় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক এই এলাকায়।  প্রশ্ন হল, কেন বারবার লালসা আর হিংসার শিকার হচ্ছে মেয়েরা? কেন কিছুতেই এই প্রবণতায় রাশ টানা যাচ্ছে না? খাস কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এমনিতেই নারী নিরাপত্তার বেআব্রু দিকটা সামনে এনে দিয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের সূত্র ধরে উঠে আসা এত এত প্রতিবাদী আওয়াজ। অভূতপূর্ব গণ আন্দোলনের মধ্যেও কিন্তু থেমে নেই নারী সংক্রান্ত অপরাধ।

 

আরও দেখুন



Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours