NOW READING:
গৃহশিক্ষক ছাড়াই দুটো বিষয়ে একশোয় একশো, মাধ্যমিকে পঞ্চম দীপ্তজিত ঘোষ
May 2, 2025

গৃহশিক্ষক ছাড়াই দুটো বিষয়ে একশোয় একশো, মাধ্যমিকে পঞ্চম দীপ্তজিত ঘোষ

গৃহশিক্ষক ছাড়াই দুটো বিষয়ে একশোয় একশো, মাধ্যমিকে পঞ্চম দীপ্তজিত ঘোষ
Listen to this article


সোমনাথ মিত্র, হুগলি: নিজে পড়ায় বিশ্বাসী। মাধ্যমিকের প্রস্তুতি পর্বে পাশে পেয়েছে পরিবার থেকে শিক্ষকদের। অঙ্ক, ভৌত বিজ্ঞানে কোনও গৃহ শিক্ষক ছাড়াই একশোয় পেয়েছে একশো। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় অদম্য জেদেই এসেছে সাফল্য। আগামীতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে চায় এ বারে মাধ্যমিকে পঞ্চম খন্যানের দীপ্তজিত ঘোষ (Madhyamik Result 2025)।

গৃহ শিক্ষক ছাড়াই পূর্ণমান: হুগলি জেলার খন্যানের ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশন এর ছাত্র দীপ্তজিত ঘোষ। ইটাচুনা মাখালডি গ্রামে বাড়ি। একেবারে গ্ৰাম্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা। বাবা তরুণ কুমার ঘোষ চাষবাস করেন। বরাবরাই ছেলের পড়াশোনায় পাশে থেকেছেন। বিজ্ঞান শাখার বিষয়গুলো ছেলেকে দেখিয়ে দিতেন। মা দিপালী ঘোষ গৃহশিক্ষকতা করেন। মাধ্যমিকের আগে ছেলেকে ইতিহাস দেখিয়ে দিতেন। বাংলা, ইংরাজি, জীবন বিজ্ঞান, ভূগোল এই চারটে বিষয়ে গৃহশিক্ষক ছিল দীপ্তজিতের। কিন্তু অঙ্ক ও ভৌত বিজ্ঞানে কোন গৃহ শিক্ষক ছিল না। সেলফ্ স্টাডির উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দীপ্তজিত। আর তাতেই হয়েছে বাজিমাত। দুটো বিষয়ই ১০০-র মধ্যে ১০০ পেয়েছে সে। 

 

ঘরে থরে থরে বই সাজানো। ছোট থেকেই মোধাবী ছিল দীপ্তজিত। স্কুলে বরাবরই প্রথম হত। কৃতি ছাত্র জানাচ্ছে, মাধ্যমিকে ৬৯১ বা ৬৯২ পাবে আশা করেছিল। পেয়েছো ও তাই। খুব খুশি দীপ্তজিত। পাশাপাশি তার বাবা মা প্রতিবেশীরা খুব আনন্দিত। পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি করতে ভালবাসে সে। আঁকাও তার ভালোবাসার বিষয়। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সে। দীপ্তজিত জানায়, “আমার মা, বাবা, দাদাকে অবশ্যই আগে ধন্যবাদ দেব আমার রেজাল্টের জন্য। পাশাপাশি আমার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, যাঁরা আমার গৃহ শিক্ষক সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আমি সবার জন্যেই এখানে আসতে পেরেছি।”                                    

ছাত্রের মা দিপালী ঘোষ বলেন, “আয়নায় মুখ দেখতে সবার খুব ভাল লাগে। সন্তানরা তো মায়ের আয়না। তাই খুব ভালো লাগছে। আজকে খুব আনন্দ লাগছে। বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে ছোট ছেলে ডাক্তারি পড়বে। ছোট বেলা থেকেই ও খুব শান্ত, ধৈর্য্য। আজকে আমরা খুব খুশি। ভগবানে বিশ্বাসী দীপ্তজিত। প্রতিদিব ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা করে পুজো সেরে স্কুলে যায় ও। তার মা জানান, ছেলে খুব আধ্যাত্মিক। ঠাকুর ভালোবাসে।

Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI

আরও দেখুন



Source link