NOW READING:
বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর সিদ্দিকুল্লার, ‘দলের মধ্যে এখনও সিপিএমের কিছু বদ রক্ত আছে’!
July 4, 2025

বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর সিদ্দিকুল্লার, ‘দলের মধ্যে এখনও সিপিএমের কিছু বদ রক্ত আছে’!

বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর সিদ্দিকুল্লার, ‘দলের মধ্যে এখনও সিপিএমের কিছু বদ রক্ত আছে’!
Listen to this article



<p><strong>মন্তেশ্বর:</strong> গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল কর্মীদের হাতে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই আক্রান্ত হয়েছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার গাড়িতে হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। দলের নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তিনি।</p>
<p>সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছেন, ‘আক্রমণে আমি রক্তাক্ত হয়েছি, ওরা চেয়েছিল বাইরে বের করে মারধর করতে। দলের মধ্যে এখনও সিপিএমের কিছু বদ রক্ত আছে, ডায়ালিসিস করতে হবে। আমাকে খুনের চেষ্টা করেছিল, দলের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের উপর আঘাত। মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন, ববি আমাকে ফোন করেছিলেন।'</p>
<p>কোচবিহারে যখন তৃণমূল নেতাকে গুলি করার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে, তখন খোদ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই দল, অর্থাৎ তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে! তৃণমূলের দু পক্ষ একে অপরকে চোর চিটিংবাজ বলে আক্রমণ করেছেন! মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান &nbsp;রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘আমাদের এখানে যে তোলাবাজ, ধান্দাবাজ, চিটিংবাজ মন্ত্রী আছে, তোলা ছাড়া কিছু বোঝে না। আজকে পরিযায়ী শ্রমিকের মতো তিনি (মন্ত্রী) এসেছেন, কিছু তোলাবাজকে নিয়ে, কিছু গুন্ডাকে নিয়ে।’&nbsp;</p>
<p>সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বক্তব্য, বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হওয়ার পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিসে পর্যন্ত খবর দেন। &nbsp;শুক্রবার তাঁকে ফোন করে খোঁজখবর নেন ফিরহাদ হাকিম। সিদ্দিকুল্লা বলেন, আমি নিজে ফোন করেছি মমতার অফিসে। তখন তাঁর টেলিফোন ব্যস্ত ছিল। তারপরে অভিষেকের অফিসে যোগাযোগ হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি নবান্নতে। কিন্তু ব্যস্ত ছিল টেলিফোন। তারপরে আমি আর সময় পাইনি। বর্ধমান DM, SP-র কাছে যাওয়া, ট্রিটমেন্ট করানো, এসবের পরে তো মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিবেলা ববিকে বলেছে তুমি সাতসকালে সিদ্দিকুল্লাকে ধরো।&nbsp;</p>
<p>&nbsp;কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তৃণমূল দলের বিরাট বাঘা নেতা ছিল। সেই বাঘা নেতার কত বড় বড় ভাষণ আমরা শুনেছি। আজকে সেই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দূরাবস্থা দেখে একটা জিনিস নিশ্চয়ই তৃণমূলের সব নেতারা বুঝতে পারছেন, তৃণমূল দলের কাছে সবাই ডিসপোজেবল আইটেম। তৃণমূল দলে কেউ অপরিহার্য নন। কার ওপরে কখন অপমান নেমে আসবে, চটি-ঝাঁটা নেমে আসবে, তৃণমূল দলের নেতারা তা জানে না। তাই তৃণমূল দলের সমস্ত নেতাদের বলব, দিদির দল থেকে সাবধান। যদি মর্যাদার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করতে হয়, দিদির দল থেকে সাবধান। DM, SP-র কাছে যাওয়া, ট্রিটমেন্ট করানো, এসবের পরে তো মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিবেলা ববিকে বলেছে তুমি সাতসকালে সিদ্দিকুল্লাকে ধরো।’&nbsp;</p>
<p>&nbsp;</p>



Source link