ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বিদেশি ডিগ্রি বিতর্কে ২ বছরের জন্য বাতিল করা হল চিকিৎসক শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন।
আরও পড়ুন, তৃণমূল কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত সিদ্দিকুল্লা ! রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রীকে কালো পতাকা- ঝাঁটা-জুতো, ‘প্রয়োজনে দল ছেড়ে দেব..’
‘নকল ডিগ্রি..’
এদিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে বৈঠক হয়। এবং বৈঠকে অভিযোগ ছিল যে , তিনি বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করছেন। নানান সময় তার বক্তব্য এবং সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে, রাজ্য মেডিক্যালের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ২ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হল। অর্থাৎ তিনি এই দুই বছর ডাক্তারি করতে পারবেন না। এবং রাজ্য মেডিক্যালের যে চিকিৎসকদের তালিকা রয়েছে, সেখান থেকে তার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। এবং এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনকে জানানো হবে। এবং তাঁদের যে রেজিস্ট্রি রয়েছে, সেখান থেকেও তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে।
কী বলছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি ?
এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল ? রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি ড. সুদীপ্ত রায় যেটা জানিয়েছেন যে, তিনি যে কাজ করেছেন, বিদেশি ডিগ্রি হিসেবে লিখেছেন, সেটা একটি সাম্মানিক ফেলোশিপ। সেটা কোনওভাবেই প্রেসক্রিপশনে লেখা যায় না। সেটা নকল ডিগ্রি। কারণ সেটা পাশ করা ডিগ্রি নয়। জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে প্র্যাকটিস করছেন..।’
অন্যায়ভাবে আমাকে হ্যারাস করছেন : শান্তনু সেন
অপরদিকে, এই ইস্যুতে শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘২০০১ সালের তৎকালীন বেলগাছিয়া পশ্চিম বিধানসভা নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডে হরেকৃষ্ঠ শেঠ লেনের KMCP স্কুলে এই মাননীয় সভাপতি যখন আমাদের প্রার্থী ছিলেন, আমি তাঁর হয়ে এবং আমার সঙ্গে ১০ জন চিকিৎসক পোলিং এজেন্ট বসেছিলাম। এবং সেই সময় দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার্মাদরা, বুথের মধ্যে আমাদের মেরে পাটপেটা করে দিয়েছিল। তিনি হচ্ছেন আজকের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট। যিনি অন্যায়ভাবে আমাকে এইভাবে হ্যারাস করছেন।”