যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার দাবি, SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম
কলকাতা: ২০১৬-র SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম। যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কালীঘাটে মিছিল করে যাওয়ার আগেই পুলিশি ধরপাকড়। ময়দান মেট্রো স্টেশনে SLST চাকরিপ্রাপকদের আটকাল পুলিশ।মিছিল আটকাতেই বিক্ষোভ শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
এদিন বেলা সাড়ে এগোরাটার সময় SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জমায়েত হতে শুরু করে। তাঁদের দাবি, ‘যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা হোক।’ যোগ্য শিক্ষক যারা চাকরি করছেন, তাঁরা কেন ভুক্তভোগী হবেন ? এই প্রশ্ন তুলে এদিন জমায়েত করেন। যদিও এদিন কালীঘাট অভিযানের অুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটক করে পুলিশভ্যানে তোলা হয়।সকাল পেরিয়ে এখন সন্ধ্যা। যারা এদিন সকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্য়েরই একজন প্রতিনিধি ফাল্গুনী দানা এবিপি আনন্দ-এর কাছে দিলেন বিশেষ সাক্ষাৎকার।
সাংবাদিক: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন। আপনারা এই দাবিটা কেন করছেন , এইটা আমি আপনার কাছ থেকে প্রথমত জানতে চাইছি। দ্বিতীয়ত, ১০ তারিখে রাজ্য সরকার এবং সুপ্রিম কোর্ট, তাঁদের বক্তব্য রাখার কথা। কতটা আশা আপনার দেখছেন যে, সেদিন রাজ্য সরকার বা SSC এই Segrigation (পৃথকীকরণ) এর বিস্তারিত তালিকা তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে ?
ফাল্গুনী দানা : আমরা হচ্ছি সরকারি কর্মচারী। মমতা দিদি-র সরকারের অধীনস্ত আমরা। আমরা গত ১০ মাস ধরে একটা বিপদের মধ্যে অবস্থান করছি। আমরা আশা করেছিলাম যে, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে আসবেন। আমাদের দুঃখ যন্ত্রণা, ব্যথার কথা শুনবেন। কিন্তু উনি আসেননি। আমরা নিরপরাধ শিক্ষক।আমাদের কোনও দোষ নেই। সেই জায়গা থেকে উনি যখন এলেন না। আমরা ওয়াই চ্যানেলে শীতের রাতে খোলা আকাশের নীচে আমাদের শিশুদেরকে সঙ্গে নিয়ে বসে আছি। উনি যখন এইসব দেখেও এলেন না, তখন আমরা নিজেরা ঠিক করলাম, শান্তিপূর্ণভাবে ওনার কাছে যাব কিছু আবেদন নিয়ে। কারণ ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানি শুরু হচ্ছে। যার সঙ্গে আমাদের জীবন-মৃ্ত্যু জড়িয়ে রয়েছে।এই শুনানিতে যাওয়ার আগে, আমাদের কিছু আবেদন আছে। আমরা কিছু খামতি দেখতে পাচ্ছি। সেগুলিই ওনার কাছে তুলে ধরতে যাচ্ছিলাম। যাতে উনি নির্দেশ দেন এবং রাজ্য ও SSC সেই খামতিপূরণের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু আজকে যেটা ঘটল, এই অমানবিক সরকারের মুখ আজকে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে সকলের সামনে।
সাংবাদিক: খামতিটা কোথায় ?
ফাল্গুনী দানা : খামতি হচ্ছে, হাইকোর্টেতেই কোনও কারণের জন্য প্যানেলটাকেই বাতিল করা। তার মধ্যে একটি কারণ ছিল, Non Cooperation from board and State. যদিও সেই খামতির কিছুটা পূরণ হলেও, পুরোটা পূরণ হয়নি। আমরা ক্লাইমেক্স পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি। সেই সামন্য বিষয়টুকু, যদি পূরণ করে দেওয়া হয়, তাহলে আজকে এতগুলি যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের জীবন ফিরে পায়। আমাদের রুজিরুটি বেঁচে যায়।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার প্রতিবাদ করে প্রহৃত মহিলা ! প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার..
আরও দেখুন