কলকাতা: দিল্লি জয়ের পর, এবার ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করে, পশ্চিমবঙ্গ দখলে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বিজেপি। কিন্তু, তাদের সংগঠন কি ততটা শক্তিশালী হয়েছে? পরিসংখ্য়ান বলছে – বাংলায় সদস্য় সংগ্রহের টার্গেটের অর্ধেক পেরোতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। ‘সক্রিয় সদস্য়’ সংগ্রহ অভিযানও আশানরূপ নয়। এমনকী বাংলায় সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে।
যমুনা পাড়ের গেরুয়া ঝড় দেখে, ২০২৬ সালে গঙ্গাপাড়েও ঝড় তোলার বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি কি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে হারানোর পক্ষে যথেষ্ট? পরিসংখ্য়ান বলছে বাংলায় সদস্য় সংগ্রহের টার্গেটের অর্ধেক পেরোতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। ‘সক্রিয় সদস্য়’ সংগ্রহ অভিযানও আশানরূপ নয়। এমনকি বাংলায় সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে। প্রথমবার সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচ ধাপে সাংগঠনিক নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।
বুথস্তরে নির্বাচনের পর মণ্ডল, তারপর জেলাস্তরের নির্বাচনের পর রাজ্যস্তরে; সবশেষে কেন্দ্রীয়স্তরে নির্বাচন হবে। রাজ্য় বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতি ধাপে ৫০ শতাংশের বেশি নির্বাচিত হলে, তাঁরা পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের সময়েই একাধিক সাংগঠনিক জেলায় অশান্তির ছবি সামনে আসে। সূত্রের খবর, ৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের মধ্য়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপাতত স্থগিত থাকবে সাংগঠনিক নির্বাচন। প্রশ্ন উঠছে, অশান্তি এড়াতেই কি এই সিদ্ধান্ত?
রাজ্য় বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনা দীর্ঘদিনের। সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় কাকে পরবর্তী রাজ্য় সভাপতি করা হবে, তা নিয়েও নানা মুনি খোলাখুলিভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন। বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্য়ুকে বঙ্গ বিজেপি যথাযথভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তাহলে কি এই সব খামতি দূরে সরিয়ে রাখতে, দিল্লির মতোই বাংলার বিধানসভা ভোটেও নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই ঝাঁপাবে বিজেপি?
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ” কালই দেশের রাজধানী দিল্লিতে ভোটের ফলাফল। আমি আজকে সকালে যখন পৌঁছোলাম, লোকে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, ওড়িশায় আপনাদের সরকার হয়েছে, বিহারে তো হয়েই যাবে, পশ্চিমবঙ্গে কী হবে? আমি নিশ্চিত, পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে ২০২৬-এ আমরা ডবল ইঞ্জিন সরকার চালাবই চালাব। দেশের ২১টি রাজ্য়ে, NDA হোক, বা ভারতীয় জনতা পার্টি হোক, ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের সবথেকে বড় ড্রাইভার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে দেশের মানুষ ভরসা করে, বিশ্বাস করে।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: “বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্য়াগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলই ক্ষমতায় ফিরবে,” আশাবাদী মমতা
আরও দেখুন