জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রিয়তমা স্ত্রী মুমতাজ বেগমের মৃত্যুর পর ১৬৩১ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেছিলেন তাজমহল। সাদা মার্বেলের এই সমাধি সৌধ পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য। আর এবার আরও আশ্চর্যকর এক ঘটনা! স্ত্রীয়ের জন্য ‘তাজমহল বাড়ি’ বানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এক সাংসদ।
‘তাজমহল বাড়ি’
২০২১ সালে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে সাংসদ দম্পতি তৈরি করেন এই ‘তাজমহল বাড়ি’। অবশেষে নির্মাণের ৪ বছর পর সামনে এল সেই ‘তাজমহল বাড়ি’র অন্দরমহল। বাড়ির ভিতর কী আছে, কেমন তার অন্দরমহল, তা ঘুরিয়ে দেখালেন দম্পতি। বাড়িমালিক আনন্দ প্রকাশ চৌকসি বলেন,”এই তাজমহলটি আমাদের ৪বিএইচকে বাড়ি। যেখানে আমরা থাকি। এটি মাকরানা মার্বেল দিয়ে তৈরি। আসল তাজমহল থেকে আকারে ছোট করা হয়েছে। সব মাপ মিটার থেকে ফুটে নামিয়ে আনা হয়েছে।”
‘তাজমহল বাড়ি’র অন্দরমহল
আকারে আসল তাজমহলের এক-তৃতীয়াংশ এই ‘তাজমহল বাড়ি’। কিন্তু দূর থেকে দেখতে একদম আসল তাজমহলের মতোই। বিশাল খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকেই একটি বিশাল বসার ঘর। যার মেঝেতে মার্বেলের কাজ। যার ঠিক কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি মহিষের মূর্তি। যা তাঁর দুগ্ধ ব্যবসায়ী হিসেবে শুরুর দিনগুলিকে মনে করিয়ে দেয়। বসার ঘরের প্রতিটি দেওয়ালই ‘ডবল ওয়াল’। প্রতিটি দেওয়াল আবার ৯ ইঞ্চি পুরু। দুই দেওয়ালের মধ্যে রয়েছে ২ ফুটের ব্যবধান। যাতে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় তাপমাত্রায় ভারসাম্য থাকে।
এরপর বসার ঘর থেকেই উঠে গিয়েছে একটি বিশাল রাজকীয় সিঁড়ি। ঘরের দুদিক থেকে দুটি সিঁড়ি উঠেছে। ঘরের দেওয়াল থেকে সিঁড়ি, সবতেই সুন্দর কারুকার্যের নিদর্শন। চৌকসির কথায়, দেওয়ালের শিল্পকর্মগুলি করতে প্রায় ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগেছে। চৌকসির কথায়, তাঁর এই বাড়ি দেখতে তাজমহল অনুরূপ হলেও, সেটি একটি সমাধি, আর এটি একটি বাড়ি। এই ‘তাজমহল বাড়ি’তে রয়েছে একটি ধ্যান কক্ষও। যেটা আবার গ্রন্থাগারও বটে। এই ‘তাজমহল বাড়ি’র গম্বুজ ছাদ থেকে ২৯ ফুট উপরে। এই ‘তাজমহল বাড়ি’ তৈরিতে সময় লেগেছে আসল তাজমহলের মতই। দেখুন ভিডিয়ো-