জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবারের ভোর রাত, অপেক্ষায় কয়েক লাখ পূর্ণাথী। মৌনী অমাবস্যার স্নান করে পুন্য লাভ করার আশায় সকলেই। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন পূর্ণাথীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল অনেককিছুই। কিন্তু তাও সামলানো গেলনা কিছুই। টানা ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘাট তৈরি করা হয়েছে স্নানের জন্য। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে গতকাল মেলায় গিয়েছিলেন প্রায় এক কোটি মানুষ। কিন্তু মানুষের চাপে ভেঙে যায় ব্যারিকেড। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তাতেই পদপিষ্ট হন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: ‘দুই হিন্দুর মধ্যে বিয়ে পবিত্র, এক বছরের মধ্যে ডিভোর্স হবে না’, নির্দেশ হাইকোর্টের!
এই ভিড় এবং মানুষের চাপ দেখে। একটা সতর্কমূলক ভিডিয়োবার্তা বানিয়েছিলেন কর্ণাটকের ২৪ বছরের এক তরুণী এবং তারই সঙ্গে আসা বাকিরা। কিন্তু তার নিজের সঙ্গেই এমন চরম পরিণতি হবে একদমই ভাবতে পারেননি তিনি এবং তাঁর মা। জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের বেলাগাভির তরুণী মেঘা দীপক হাতারওয়াত। বিপুল জনস্রোতের বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানাচ্ছিলেন কেউ এখন যেন না আসেন। আসলেও কেউ কারোর হাত না ছাড়ে।
সংবাদমাধ্যমে সতর্কবার্তা দিতে দিতে তিনি জানান, ‘হাই, আমার এখন কুম্ভমেলায় রয়েছি। প্রচণ্ড ভিড় এখানে। যদি পারেন তাহলে এসেন না। যদি এসেই পরেন অতি অবশ্যয় নিজের প্রিয়জনদের হাত ধরে থাকুন।’ মঙ্গলবার মেঘা পদপিষ্ট হওয়ার আগে ঠিক এই কথাগুলোই বলেছিলেন। কিন্তু দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি মেঘা এবং তাঁর মায়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতি ঘটবে। পরিবার জানিয়েছে, ওই সতর্কবার্তা সে বাড়ির লোককে ভিডিয়ো কল করে দিচ্ছিল। রাতের দিকে সঙ্গমস্থলের কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। আগে থেকেই সেখানে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন। সঙ্গমস্থলের ৫০০ মিটারের মধ্যে ১০ লক্ষ পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন মঙ্গলবার রাতে। তারপরই ঘটে যায় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জন পূণ্যার্থীর। আহত হয়েছেন বহু। সেখানেই রয়েছেন মেঘা এবং তাঁর মা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)