অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ (Waqf Law Protest) বিক্ষোভের জেরে আটকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। বিক্ষোভের ফলে ধুলিয়ান-নিমতিতার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ। বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে এই পরিস্থিতি হওয়ায় সমস্যায় যাত্রীরা।
বিক্ষোভের জেরে আটকে ট্রেন: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আগুন জ্বলে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। এবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ধুলিয়ান, সুতি। ধুলিয়ান মহকুমাজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরুদ্ধ থাকে ধুলিয়ানে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ সেকশনে ব্য়াহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে আটকে পড়ে পুরী-কামাখ্য়া সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে আজিমগঞ্জ-ভাগলপুর প্য়াসেঞ্জার, কাটোয়া আজিমগঞ্জ প্য়াসেঞ্জার।
নতুন ওয়াকফ আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে, শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে। পাল্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্য়াসের সেল ছোড়ে পুলিশ। ২ জায়গায় হামলার ঘটনায় ফরাক্কার SDPO সহ ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলাতেও সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এরইমধ্য়ে দেখা যায়, এইভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি সরকারি গাড়িতে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বারুইপুর জেলা পুলিশের একটি জিপে করে এই পথ ধরেই এক বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, বিক্ষোভ সমাবেশের জেরে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় আটকে যায় গাড়িটি। ভাঙচুর চালানো হয় তাতে। পুলিশের সামনে, ঠিক এইভাবে ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ির কাচ।
আরও দেখুন