কলকাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্ত মুর্শিদাবাদ। ইতিমধ্যেই অত্যাচারের জেরে, প্রাণ বাঁচাতে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পালিয়েছেন একাধিক বাসিন্দা।সুতি, সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও আধা সেনা। আর এবার এই ইস্যুতে দিল্লি যাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান কার্তিক মহারাজ। জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি জানাতে দিল্লি যাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ।
আরও পড়ুন, ‘যাঁরা অপরাধী, তাঁদের প্রত্যেককে ধরা হবে..’, কড়া বার্তা ADG জাভেদ শামিমের
সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানের অলিতে গলিতে টহল দিচ্ছে বিএসএফ। বাড়ির ছাদ থেকে সরাতে বলা হচ্ছে জমিয়ে রাখা পাথর, ইটের টুকরো। এদিকে মুর্শিদাবাদ অশান্ত হয়ে ওঠার পর, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ শাসক দলের বিধায়ক। যদিও পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় ভাল।মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন,’সেন্ট্রাল ফোর্স যখন থেকে আছে আমরা একটু নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি।’
সামশেরগঞ্জের বাতাস ভারী হয়েছে ভারী বুটের শব্দে। আর সেই বাতাসেই এখন বাঁচার অক্সিজেন পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘুম উড়ে যাওয়া কয়েকটা রাতের আতঙ্ক এখনও দরজায় কড়া নাড়ছে। আর তারই মধ্যে পরিস্থিতি বদল করার চেষ্টা করছে বিএসএফ। বাড়ির ছাদে কোথাও রাখা ইটের টুকরো, কোথাও পাথর, একটা দুটো নয়। কার্যত ডাঁই করে রাখা। স্তূপ বললেও বেশি বলা হবে না। ওপরে যে পাথরগুলো রয়েছে সেগুলো বিএসএফের তরফ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একের পর এক পাথর যেগুলো বিএসএফের অভিযোগ, এখানে জমা করে রাখা হয়েছিল।
BSF আধিকারিক বলেছেন, ‘যেটা আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আপনিই বুঝে নিন বিল্ডিংয়ের ওপর পাথর কেন রাখা হয়েছে।আপনি তো বুঝতেই পারছেন।’ আপনারা কি সেটাই এখন সরাচ্ছেন? এবিপি আনন্দ-এর প্রশ্নের উত্তরে, BSF আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা সরাব না। ওনাদের দিয়েই সরানো হবে। যারা স্থানীয় বাসিন্দা আছেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করুন। স্থানীয় যারা আছেন তাঁদেরকে বলুন যে এইসব পাথর যেন সরিয়ে দেয়।’ বিএসএফ যখন এই ভূমিকা পালন করছে, তখন সামশেরগঞ্জে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন,৩ ঘণ্টা ধরে পুলিশকে ফোন করা হয়েছে পুলিশের কোনও খবর নেই। মমতার যা শাসন হয়েছে, অনেক বিপজ্জনক এখন। শনিবার সন্ধেয় সামশেরগঞ্জে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ম্যারাথন বৈঠক করেন থানায়।কিন্তু এদিকে মুর্শিদাবাদের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক।
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এটা জঙ্গিপুর পুলিশের গাফিলতির জন্য…তাঁরা যদি গ্রাসরুটে বা তাঁদের স্থানীয় থানা এলাকায় যেসব ঘটনা ঘটেছে, সঠিক তথ্য যদি দিত, উনি(ডিজি)যখন কালকে তড়িঘড়ি আসলেন, আগে যদি তাঁর (ডিজি) আসার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিত, নিশ্চয় তাহলে কাল যখন আসতে পেরেছেন , দু’দিন আগেও আসতে পারতেন। তাঁরা এটাকে হালকাভাবে নিয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস-বিজেপির অনেক নেতাও।
আরও দেখুন