কলকাতা:ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ঘিরে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি নেয় মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান। ইতিমধ্যেই সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে ওয়াকফ অশান্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘এসব কাশ্মীর-সিরিয়ায় হয়েছিল। যদিও এখন কাশ্মীরে সবাই ফিরছেন। রাজ্যের পরিস্থিতি দেশভাগের থেকেও ভয়াবহ।’
আরও পড়ুন, সন্তানের বয়স মাত্র ৭ দিন, এখনও নাম ঠিক হয়নি, ওয়াকফ অশান্তিতে মায়ের সঙ্গে ঘর ছাড়তে হল দুধের শিশুকেও !
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, কাশ্মীরে হয়েছিল। ওরা উদ্বাস্তু হয়েছিল। প্যালেস্তাইন সিরিয়াতে হয়েছিল। আজ কাশ্মীরের লোক আবার কাশ্মীরে ফিরছে। আর পশ্চিমবঙ্গের লোক এক জেলা থেকে অন্য জেলায় এমনকি অন্য রাজ্যে পালাচ্ছে। ২০২১ সালের ভোটের পর এই ছবি দেখেছি। এখন আবার এই ছবি দেখছি। দেশ ভাগের থেকেও এই পরিস্থিতি ভয়াবহ। বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে আসছে। আর মুর্শিদাবাদ থেকে হিন্দুরা অত্যাচারে পালিয়ে যাচ্ছে। ভারতে এটা কল্পনা করা যায় না। তাহলে কি ভারতে সর্বত্র সংবিধান চলে না? সুপ্রিম কোর্ট চলে না? কেন্দ্র সরকার চলে না?’
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এখানে ওয়াকফ সংশোধনী আইন চালু হতে দেবেন না, এই প্রসঙ্গে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘উনি অনেক কিছুই বলেন। কিছু বোকা লোককে বারবার বোকা বানান। আমরা নোট বন্দী হতে দেব না, সিএএ লাগু হতে দেব না, তিন তালাক লাগু হতে দেব না। এরকম অনেক কিছু বলেছেন। ওনার পার্টিতে ওনার কথা শোনে না। এই উগ্রপন্থীদের বাংলাদেশ থেকে ঢুকিয়ে এখানে লুঠপাট চালানো হচ্ছে। সুযোগ পেলেই হিন্দুদের সম্পত্তি নষ্ট করছে মন্দির ভাঙছে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছে।এই জিনিস যদি চলতে থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে যাবে। ‘
রাজীব কুমার বলছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজা যা বলে পরিষদ তার শতগুণ বাড়িয়ে বলে। এদের জেলে যাওয়া উচিত। মমতা একবার তাকে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন। তাই এখন তিনি যা বলছেন ইনিও তাইই বলছেন। এই ধরনের অফিসারের ওপর কে ভরসা করবে? যারা অপরাধ করছে ইনি তাদের থেকেও বেশি অপরাধী।’
মালদা এবং মুর্শিদাবাদকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না কেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই চক্রান্ত অনেক বড়। দেশ ভাগের পর মহম্মদ আলি জিন্নার মনে সুখ ছিল না। এখানকার মুসলিম নেতারা বলেছিল ৩০ বছর অপেক্ষা করুন বাংলা এবং আসাম আপনাকে রুপোর থালায় সাজিয়ে দেব। সেটা তখন পারেনি। সেই চক্রান্তের সাথী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এটা সম্পূর্ণ করবেন। জিন্নার আধুনিক রূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোহরাওয়ার্দীর আধুনিক রূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।উনি হাতে করে এটাকে পশ্চিম বাংলাদেশ করার চক্রান্ত করছেন। ইনি যতদিন আছেন কোনও হিন্দু নিরাপদ নয়। এখানে রাজনীতি অর্থনীতি সমাজ কিছুই নিরাপদ নয়। মমতা থাকলে বাংলায় শান্তি নেই।’
মালদায় মহিলাদের সম্ভব নিয়ে প্রশ্নে দিলীপের উত্তর,’ এই অত্যাচারের একটা উদ্দেশ্য হল হিন্দুদের ঘর ছাড়া করে তাদের সম্পত্তি দখল করা। বাংলাদেশে হিন্দুদের বলা হচ্ছে হয় ধর্ম ছাড়ো নাহলে দেশ ছাড়ো। মুর্শিদাবাদ মালদায় লুঙ্গি পড়ে নিলেই থাকতে পারবে। একদিকে সম্পত্তি দখল চলছে অন্যদিকে ববি হাকিম বলছেন দাওয়াত-এ ইসলাম। অর্থাৎ হয় ইসলামে এস নাহলে সম্পত্তি দাও। এখানে বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা। হিন্দুরা লড়ছে কিন্তু জায়গাটা এমন ওরা একা পেরে উঠছে না। সরকারের পুলিশ ওখান থেকে গায়েব। এমনকি বিএসএফ-কে এলাকা চেনাচ্ছে না। গাইড করছে না।’
আরও দেখুন