কলকাতা: ওয়াকফ অশান্তি ঘিরে থমথমে সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান। ইতিমধ্যেই রাজীব কুমার বলেছিলেন ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’ আজ ADG জাভেদ শামিম সাংবাদিক সম্মেলনেও একই দাবি জানিয়েছেন। তিনি এদিন বলেন, ‘গোটা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন, মুর্শিদাবাদে ‘অশান্তি’র জন্য কারা দায়ী ? শুভেন্দু কাছে এসে পৌঁছল কাদের নাম ? ‘ তালিকাও তৈরি…’
‘যাঁরা অপরাধী, তাঁদের প্রত্যেককে ধরা হবে..’
এদিন ADG জাভেদ শামিম বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ-মালদা জুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। ঘরছাড়ারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরে আসছেন। এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকলেও, তার মানে কিন্তু এই নয়, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকাজুড়ে গুজবের দাপট এখনও কমেনি, সেই জন্যই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। জঙ্গিপুরে ধীরে ধীরে দোকানপাট খুলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন এলাকায় চলছে রুটমার্চ। বাইরের রাজ্য থেকে কিছু না জেনে সোশাল মিডিয়ায় নানারকম পোস্ট করা হচ্ছে। হিংসাকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা ২০০-র বেশি। যাঁরা অপরাধী, তাঁদের প্রত্যেককে ধরা হবে। একটা প্ররোচনা থেকে এই কাণ্ড ঘটেছে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’
‘ এদের জেলে যাওয়া উচিত..’
যদিও এদিন সকালে রাজীব কুমারের দাবি মানতে নারাজ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজা যা বলে পরিষদ তার শতগুণ বাড়িয়ে বলে। এদের জেলে যাওয়া উচিত। মমতা একবার তাকে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন। তাই এখন তিনি যা বলছেন ইনিও তাইই বলছেন। এই ধরণের অফিসারের ওপর কে ভরসা করবে? যারা অপরাধ করছে ইনি তাদের থেকেও বেশি অপরাধী।’
‘ এখানে কিছুই নিরাপদ নয়..’
মালদা এবং মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই চক্রান্ত অনেক বড়। দেশ ভাগের পর মহম্মদ আলি জিন্নার মনে সুখ ছিল না। এখানকার মুসলিম নেতারা বলেছিল ৩০ বছর অপেক্ষা করুন বাংলা এবং আসাম আপনাকে রুপোর থালায় সাজিয়ে দেব। সেটা তখন পারেনি। সেই চক্রান্তের সাথী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এটা সম্পূর্ণ করবেন। জিন্নার আধুনিক রূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোহরাওয়ার্দীর আধুনিক রূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।উনি হাতে করে এটাকে পশ্চিম বাংলাদেশ করার চক্রান্ত করছেন। ইনি যতদিন আছেন কোনও হিন্দু নিরাপদ নয়। এখানে রাজনীতি অর্থনীতি সমাজ কিছুই নিরাপদ নয়। মমতা থাকলে বাংলায় শান্তি নেই।’
‘সব ধর্মের সবার আছে আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত ও সংযত থাকুন..’
অপরদিকে ওয়াকফ আইন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সব ধর্মের সবার আছে আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত ও সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনও অ-ধার্মিক আচরণ করবেন না। প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান, রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। মনে রাখবেন, এই আইন কিন্তু আমরা করিনি। উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রের কাছে চাইতে হবে। আমরা ওয়াকফ আইনকে সমর্থন করি না। যাঁরা উস্কানি দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না, শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও দেখুন