নয়াদিল্লি: ১৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। অবশেষে ১৮তম মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (Royal Challengers Bengaluru) হাতে আইপিএল ট্রফি (IPL 2025) উঠেছে। আরসিবির এই ট্রফি জয়টিকে কার্যত সকলেই বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) উৎসর্গ করেছেন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে ১৮ মরশুম এক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই খেলেছেন বিরাট কোহলি। তবে বারংবার খেতাব তাঁর হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু এবার এমনটা হয়নি। ১৮তম মরশুমে ১৮ নম্বর জার্সিধারীর হাতেই উঠেছে ট্রফি।
আইপিএলের সর্বকালের সর্বোচ্চ রানংস্রাহক, বিশ্ব ক্রিকেটের পোস্টার বয় বিরাট কোহলি। তবে ১৮ বছর আগে কোহলি যখন বেঙ্গালুরুর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দেন, তখন তিনি নিছকই একজন টিনএজার ছিলেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে কুয়ালালামপুরে খেতাব জিতিয়েছিলেন কোহলি। তখন কেই বা ভাবতে পেরেছিল পরবর্তী দুই দশক ধরে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করবেন। তবে আস্থা দেখিয়েছিল আরসিবি ম্যানেজমেন্ট, আরও ভাল করে বললে তৎকালীন আরসিবি কর্ণধার বিজয় মাল্য।
কোহলিকে দলে নেওয়ার বিষয়টা আজও বিজয় মাল্যর স্মৃতিতে একেবারে স্পষ্ট। সম্প্রতি এক পডকাস্টে মাল্য বলেন, ‘আরসিবিকে শক্তিশালী দল করে তুলতে পারে এমন সব ক্রিকেটারকে আমি নিজের হাতে বাছাই করেছিলাম। আমি সবথেকে গর্বিত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের একটি তরুণ বিরাট কোহলিকে চিহ্নিত করে দলে নেওয়া। আমার মনে হয়েছিল ওর মধ্যে বিশেষ প্রতিভা রয়েছে এবং আমি ওর হয়ে দর হাঁকাই।’
প্রাক্তন আরসিবি কর্ণধার কোহলিকে দলে নেওয়ার চিন্তাধারা ও প্রক্রিয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও যোগ করেন, ‘দর কষাকষি তথা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই ওরা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলছিল এবং ওর খেলা আমাকে ভীষণ প্রভাবিত করে। তাই আমি ওকে দলে নিই। ১৮ বছর পরেও ও একই দলে রয়েছে, এই বিষয়টা দারুণ। আমি যখন ওকে দলে নিয়েছিলাম, ও তখন বাচ্চা ছিল, তবে উদ্যম, প্রতিভায় ভরপুর ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হয়ে ওঠে ও।’
মাল্য জানিয়েছেন, আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি নিজেও আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে প্রচুর বন্ধু বসে খেলা দেখছিল। সকলে মিলে আনন্দ করেছি। আমি এই দলটা তৈরি করেছিলাম। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স নাম দিয়েছিলাম। স্বপ্ন ছিল, ট্রফিটা বেঙ্গালুরুতে আসবে। তবে সেটা আসতে যে ১৮ বছর লেগে যাবে ভাবিনি।’