বিনামূল্যে সবজি দিতেন, ১৪ বছর পরে অসময়ের ‘বন্ধু’কে খুঁজে তাঁর কাছে গেলেন DSP
![বিনামূল্যে সবজি দিতেন, ১৪ বছর পরে অসময়ের ‘বন্ধু’কে খুঁজে তাঁর কাছে গেলেন DSP বিনামূল্যে সবজি দিতেন, ১৪ বছর পরে অসময়ের ‘বন্ধু’কে খুঁজে তাঁর কাছে গেলেন DSP](https://i0.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/11/14/c38a72352e0ca3b8a83909223ca21fdf1731591060726900_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
কলকাতা: যেন হুবহু এক সিনেমার চিত্রনাট্য। একসময় সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এক ব্যক্তি আর সেই কঠিন সময়ে বিনামূল্যে সবজি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী আর ১৪ বছর পর সফল ডেপুটি পুলিশ সুপার হয়ে সেই ‘বন্ধু’র কাছেই ফিরে গেলেন ব্যক্তি। আবেগঘন হয়ে উঠল আবহ। এমনই ঘটেছে ভোপালের এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। সম্প্রতি গোয়ালিয়রের ডিএসপি সন্তোষ পটেল (DSP Santosh Patel) ১৪ বছর পরে সেই সবজি বিক্রেতাকে খুঁজে তাঁর কাছে গিয়েছেন। বিক্রেতার নাম সলমন খান। একসময় যখন কঠিন সংগ্রাম করে পরীক্ষার (Viral News) প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি, সেই সলমনই তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। সফল হয়ে সেই অসময়ের বন্ধুর কাছে ফিরে গেলেন সন্তোষ।
একটি ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন ডিএসপি সন্তোষ পটেল যেখানে দেখা যায় ভোপালের অপ্সরা টকিজ সিনেমাহল চত্বরে সেই সবজি বিক্রেতার ঠেলাগাড়ির সামনে গাড়ি নিয়ে হাজির হন তিনি। প্রথমে একটু হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন সলমন, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিএসপিকে চিনতে পেরে আনন্দে ভরে ওঠে তাঁর মুখ। সলমনের সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতির সরণি বেয়ে সন্তোষ বলেন যে সেই সময় বেশিরভাগ দিনই তাঁর কাছে টাকা থাকত না। তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন এবং পরে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময় এই সবজি বিক্রেতার কাছে এসে তাঁকে অনুরোধ করেই বিনা পয়সায় সবজি নিয়ে যেতেন তিনি। বিক্রেতা সলমন কখনও এতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। বিনামূল্যে টমেটো আর বেগুন দিয়ে দিতেন তিনি। আর ১৪ বছর পরে দুজন দুজনকে দেখে হাসি আর ধরছে না কারো।
এক্স হ্যান্ডলে সন্তোষ পটেল লেখেন, ‘সলমন আমার অবস্থা বুঝতে পেরেছিলেন, আর আমাকে বিনা পয়সায় সবজি দিতেন। এত বছর পরে তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়াতে দুজনেই আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। কঠিন সময়ে দুর্দিনে কেউ সাহায্য করে থাকলে তাঁকে ভুলে যাওয়া একটা বড় অপরাধ। কারও অকৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নয়।’
এই ভিডিয়োতে দেখা যায় দুজনেই প্রাণ খুলে হাসছেন আর সলমন পুরনো দিনের কথা মনে করছেন। আর সন্তোষ জানান যে রোজই দোকান বন্ধ করার সময় তাঁর জন্য সবজি আলাদা করে সরিয়ে রেখে দিতেন সলমন। সবজি বিক্রেতা সলমন জানান যে তাঁর ফোন নম্বর হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি, কিন্তু তাঁর ভিডিয়ো দেখতেন প্রায়ই। তিনি ভেবেছিলেন যে হয়ত কোনোদিন তাঁর সঙ্গে আবার দেখা হয়ে যাবে। আর সেই সময় পুরনো দিনের কথা তাঁকে আবারও মনে করাবেন সলমন।
আরও পড়ুন: CBSE Board Exam 2025: কমল দশম-দ্বাদশের পাঠ্যসূচি, কিছু বিষয়ে ‘ওপেন বুক এক্সাম’- আরও কী বদল আনল CBSE ?
আরও দেখুন