হোলির আগেরদিন রাতে গুজরাটের ভদোদরায় ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার খবরে সারা ভারত শিউড়ে উঠেছিল। ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের, রাতের রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরে এক মহিলার মৃত্যু হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন। দুর্ঘটনার জড়িত অভিযুক্ত চালক রক্ষিত রবীশ চৌরাসিয়া দাবি করেছেন যে, তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ করেই এয়ারব্যাগ খুলে যায় এবং সে সামনের কিছুই দেখতে পায়নি।
হাড়হিম করা সেই দুর্ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে রক্ষিত, গাড়ি দুর্ঘটনার পরেও, গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে, মাদকাসক্ত অবস্থায় অসংলগ্ন কথা বলছে এবং চিৎকার করে বলছে ‘আর এক রাউন্ড,নিকিতা?’ পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত রক্ষিতকে।
দুর্ঘটনার রাতে তিনি কোথায় পার্টি করেছিলেন বা মদ্যপান করছিলেন জিগ্গেস করলে ওই আইনের ছাত্র দাবি করে যে সে নেশাগ্রস্ত ছিল না এবং হোলিকা দহন অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল। তার দাবি দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে তখন তার গাড়ির সামনে হঠাত দুটি-তিনটি স্কুটার এসে পড়ে।
তবে, পুলিশের তদন্তে একেবারেই অন্য চিত্র উঠে আসছে। রক্ষিত, আনুমানিক ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। যখন তিনি আম্রপালী কমপ্লেক্সের কাছে পৌঁছন, তার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। একাধিক দুই চাকার গাড়ির সাথে ধাক্কা খায় তার গাড়ি। দুর্ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রক্ষিত এয়ারব্যাগের কারণে কিছু দেখতে না পাওয়ার কথা জানায়। বারবার সে দুর্ঘটনার জন্য গর্ত এবং এয়ারব্যাগকে দায়ী করেছে। তদন্তে জানা গেছে যে, সে সময় মদ্যপ ছিল। অভিযুক্ত রক্ষিত জানিয়েছে সে জানত না যে কেউ মারা গেছে বা আহত হয়েছে তার গাড়ির ধাক্কায়।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে রক্ষিতের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল মাদকের ধরণ এবং পরিমাণ নির্ধারণের জন্য।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার লীনা পাতিল গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “একটি চার চাকার গাড়ি একটি দুই চাকার গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং দুর্ঘটনায় একজন মহিলার মৃত্যু হয়। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে। গাড়ি চালানোর সময় মাদক সেবনে যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।”