জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নয়ডার একট হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহ। পাশাপাশি তার মোবাইল থেকে পাওয়া গেল একটি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে ওই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন। পাশাপাশি তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন কীভাবে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপরে অত্যাচার করত। তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর তিনি যদি ন্যায় বিচার না পান তাহলে তার চিতাভষ্ম যেন নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়।
মৃত্যু আগে রেকর্ড করে যাওয়া ওই ভিডিয়োতে মোহিত কুমার নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এই ভিডিয়ো যখন তোমাদের হাতে আসবে তখন আমি আর নেই। পুরুষদের জন্য যদি আইন থাকত তাহলে আমি হয়তো বেঁচে থাকে পারতাম। স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছি না। বাবা-মা আমাকে ক্ষমা করো।
উত্তর প্রদেশের আউরিয়া জেলা বাসিন্দা ছিলেন মোহিত কুমার। প্রিয়া যাদব নামে এক তরুণী সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। শেষপর্যন্ত তাকেই বিয়ে করেন মোহিত। বেশকিছুদিন ভালোই চলছিল। সমস্যা শুরু হয়ে প্রিয়া প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পাওয়ার পরে। মোহিতের পরিবারের দাবি, চাকরি পাওয়ার পরপরই সমস্যা শুরু করে প্রিয়া। দিনের পর দিন মোহিতের উপরে চাপ দিতে থাকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য। প্রিয়ার সঙ্গে যোগ দেন তার মাও।
আরও পড়ুন-তোলপাড় শক্তিগড়, ল্যাংচা খেয়ে, ফেরার পথে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়ে ব্রিগেডমুখী জনতা
মোহিত কুমার তার ভিডিয়োতে বলেছেন, আমরা স্ত্রী ও তার মা আমাকে না বলেই গর্ভপাত করে। সব গহনা তাদের নিজেদের কাছে রেখে দেয়। শুধু তাই নয় স্ত্রী রোজই হুমকি দিতে থাকে যে আমি যদি সম্পত্তি ও বাড়ি তার নামে লিখে না দিই তাহলে সে আমার নামে পারিবারিক হিংসার মামলা করবে। পারিবারের অন্যদেরও তাতে জড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন-নিশানায় তৃণমূল-বিজেপি, ‘আজ থেকে লড়াই শুরু’, ব্রিগেড থেকে বার্তা সেলিমের..
পুলিস নয়ডার জলি হোটেলের ১০৫ নম্বর ঘর থেকে মোহিতের দেহ উদ্ধার করে। হোটেলের ঘরে ঢুকে সে আর বের হয়নি। দরজায় ধাক্কা দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তারপরই হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এসে মোহিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হোটেলের ঘর থেকে।
মোহিতের ভাই তরণ প্রতাপ বলেন, দাদা নয়ডায় একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করত। সেখানেই প্রিয়ার সঙ্গে তার আলাপ। পরে তাকে বিয়েও করে। বিয়ের তিন মাস পরেই মোহিতের উপরে অত্যাচার শুরু করে প্রিয়া। ওকে প্রথমে আমাদের পরিবার থেকে আলাদা করে। তার পরে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এরই পরিণতিতে দাদা নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)