কলকাতা: কুকথা কাণ্ডে বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলও। সেই অডিও সামনে আসার পরই পদক্ষেপ নেয় দলও। আর এবার সতীর্থকে লক্ষ্মণরেখা মনে করালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
অনুব্রত প্রসঙ্গে কী মন্তব্য উদয়নের?
এক ফোনে একাধিক হুমকি। পুলিশ অফিসারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বাছা বাছা শব্দে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে বোলপুরের IC লিটন হালদারকে। বাদ দেওয়া হয়নি তাঁর মা-বউকেও। তাঁদের ক্ষেত্রেও এমন শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা হয়েছে, যা সম্প্রচার বা প্রকাশের অযোগ্য। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। এবার অনুব্রতর সতীর্থ উদয়ন গুহ তাঁকে লক্ষ্মণরেখা মনে করালেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “আমি গালাগালি করে কোনও সময় কথা কাউকে বলি না। আমি কখনও অশ্লীল কথা বা কোনও খারাপ কথা বলি না। আমাদের সবার চারপাশে লক্ষ্মণরেখা আছে। আমাদের কারও উচিত না সেই লক্ষ্মণরেখা ডিঙিয়ে যাওয়া।”
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নতুন ধারায় মামলা রুজু করতে বলে পুলিশকে চিঠি দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। কোন কোন ধারা আরও যুক্ত করতে হবে, ধরে ধরে উল্লেখ করে দেওয়া হল তাও। আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া ৪ টি ধারার সঙ্গে আরও ৩ টি ধারা যোগ করতে বলল কমিশন। যার মধ্যে রয়েছে একটি জামিন অযোগ্য ধারাও। এই মর্মে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে দেওয়া হল চিঠি।
রিভাইসড অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি, এই চিঠিতে জাতীয় মহিলা কমিশন বলেছে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মহিলার শালীনতা লঙ্ঘন করার উদ্দেশে শব্দপ্রয়োগের জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারা, শান্তি নষ্ট করতে প্ররোচনা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করার জন্য ৩৫২ ধারা, এবং মহিলার শালীনতা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের জন্য ৭৪ ধারায় মামলা রুজু করা হোক। এখনও অবধি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২৪ ধারায় সরকারি আধিকারিককে হুমকি, ৩৫১ ধারায় অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন, BNS-এর ১৩২ ধারায় সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়ার জন্য আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং ৭৫ নম্বর ধারায় কোনও মহিলাকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।