জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমান ভেঙে পড়ার পর দুর্ঘটনার পেছনে একাধিক সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। তার মধ্যে একটি হল, কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তুর্কিয়ের ফার্ম Turkish Technic। তাদের কোনও গন্ডগোলে দুর্ঘটনা হতে পারে। এনিয়ে এবার মুখ খুলল তুর্কিয়ে। এরদোগানের দেশের ডাইরেক্টরেট অব কমিউনিকেশন সেন্টার ফর কাউন্টারিংয়ের সাফ কথা, যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যে এবং ভারত-তুর্কিয়ের সম্পর্ক খারাপ করার জন্য এরকম ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তুর্কিয়ের বিবৃতি অনুযায়ী এয়ার ইন্ডিয়া ও Turkish Technic-এর মধ্যে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের যে চুক্তি হয়েছে তা হলে ওয়াইড বডির বোয়িং ৭৭৭ বিমান রক্ষনাবেক্ষণের। তার মধ্যে কোনও বেয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার নেই। Turkish Technic কোনও ড্রিমলাইনারের রক্ষনাবেক্ষণ করে না।
লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭ বিমান আমদাবাদে ভেঙে পড়ার পর আঙুল উঠেছিল তুর্কিয়ের সংস্থায Turkish Technic এর দিকে। দাবি করা হয়েছিল তারাই বোয়িং ৭৮৭ বিমানের দেখভাল করে। ওই দুর্ঘটনায় এখনওপর্য়ন্ত ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে যে সব যড়যন্ত্র তত্ত্ব বাজারে ঘুরছে তার মধ্যে রয়েছে ভেজাল জ্বালানী, ইঞ্জিনের সমস্যা, ডানা ও ল্যান্ডিং গিয়ারের সমস্যা ও আবহাওয়ার তাপমাত্রা-সহ একাধিক বিষয়।
তুর্কিয়ের ওই সংস্থা আরও জানিয়েছে, কারা ওই ড্রিমলাইনার রক্ষনাবেক্ষণ করে তা তারা জানে। কিন্তু এনিয়ে কোনও জল্পনা নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি নয়। তবে এরকম জল্পনা নিয়ে সংস্থা এবার সতর্ক থাকবে। তাদের স্ংস্থা আন্তর্জাতিক আঙিনায় কাজ করে। ফলে ভাবমূর্তির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি তুর্কিয়ের মানুষ সমবেদনা জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন-হতবাক বিশ্ব! সাতদিন আগেই কীভাবে বিমান দুর্ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী শর্মিষ্ঠার? নক্ষত্রসমাবেশ নিয়ে বিস্ময়কর যা বলেছেন…
আরও পড়ুন-৮০ মৃত্যু, প্রায় ৯০০ আহত! ইসরায়েলের মারণ আক্রমণে শ্মশান ইরান, মৃত্যুর গন্ধে ভারী দু’দেশের বাতাস…
অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে ড্রোন দিয়ে সাহায্য করেছিল তুর্কিয়ে। এর পরই তুর্কিয়ের সংস্থা Celebi Ground Handling India Private Limited-এর সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স দিতে অস্বীকার করে ভারত। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই সংস্থার কাজকর্ম রদ করে কেন্দ্র।
এখনওপর্য়ন্ত যেসব কারণকে দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সেগুলি হল-
উড়ানের উপরে ওঠার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা নিয়ে থাকে বিমানের স্পিড। সেই স্পিড বা থ্রাস্ট না পেলে বিমান নীচেই নামতে থাকবে। রেডারের ডেটা ও ফুটেজ দেখে বোঝা যায় ওড়ার পরই বিমানটি তার গতি হারিয়ে ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডানা ও ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ডানায় সমস্যা থাকলে ওড়ায় বাধা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কা, ইঞ্জিন বিকল হওয়া থেকে দুর্ঘটনা হতে পারে। পাশাপাশি বিমানের জ্বালানীতে যদি ভেজাল থাকে তাহলে টেক অফের সময় প্রয়োজনীয় থ্রাস্ট পাবে না বিমান। পাইলটের কথা থেকে প্রশ্ন উঠছে জ্বালানী সরবারহকারীল লাইনে কোনও জ্যাম হলেছিল কিনা।
দুর্ঘটনার দিন আহমেদাবাদের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওই তাপমাত্রায় বাতাসের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। ফলে টেক অফের সময়ে অনেক বেশি স্পিডের প্রয়োজন হয়। এখানও প্রশ্ন আবহাওয়ার বিষয়টি পাইলটের নজর এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি উঠে আসছে বিমানটির বয়স নিয়েও। সেটি ছিল ১১ বছরের পুরনো। বয়সের কারণেই কি কোনও সমস্যা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)