Trump Tariff : ট্রাম্পের ট্যারিফ যে মার্কিন অর্থনীতিরও (US Economy) ক্ষতি করবে, সেই বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। এ বার পাল্টা আমেরিকার ওপর চিন (US China Trade War) পারস্পরিক শুল্ক চাপাতেই পিছু হটছে হোয়াইট হাউস। তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্পের দেশ।
চিনের চালে উল্টে ফাঁসে গেলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনসহ অনেক দেশের ওপরই পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে। যাতে নাজেহাল অবস্থা হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতির। ইতিমধ্যেই বিশ্ব বাজারে ধস দেখেছে বিনিয়োগাকারীরা। যদিও অতিরিক্ত শুল্প চাপানো নিয়ে জবাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, অন্যান্য দেশ আমেরিকা থেকে উচ্চ শুল্ক নেয়। সেই কারণে এখন আমেরিকাও তাদের কাছ থেকে উচ্চ শুল্ক নেবে। তিনি আশাবাদী তার শুল্ক নীতি আমেরিকাতে উত্পাদনকে উত্সাহিত করবে ও আমেরিকান অর্থনীতিকে গতি দেবে।
ট্রাম্পের শুল্ক সিদ্ধান্তে আমেরিকায় ক্ষোভ
যদিও ট্রাম্পের নীতি উল্টে আমেরিকার প্রোডাকশন পলিসির হিসেব গোলমাল করে দিচ্ছে। কারণ, আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে অনেক জিনিস তৈরি হয় না বা খুব অল্প পরিমাণে তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট যে, এই পণ্যগুলি অন্যান্য দেশ থেকে অর্ডার করতে হবে। এই কারণেই আমেরিকান সংস্থাগুলিকে ট্রাম্পের নীতিতে বিরক্তি প্রাকশা করেছ। কারণ তারা যদি অন্য দেশ থেকে পণ্য অর্ডার করে ,তবে তাদের ট্রাম্পেরই পারস্পারিক শুল্ক নীতির কোপে পড়তে হবে।
অনেক আমেরিকান কোম্পানি চিনা উৎপাদনের উপর নির্ভর করে
চিনের কথাই ধরা যাক। আমেরিকা চিনা আমদানির উপর 145 শতাংশের একটি ভারী শুল্ক আরোপ করেছে। আমেরিকার ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যোগ্য জবাব দিয়েছে চিন। এছাড়াও, ইতিমধ্যে আরোপিত 20 শতাংশ শুল্ক আলাদা অর্থাৎ মোট শুল্ক 145 শতাংশ ধার্য করেছে বেজিং। তাই আমেরিকার কোনও কোম্পানি চিন থেকে পণ্য় আনালে তাকে এই শুল্ক জ্বালায় ভুগতে হবে।
নতুন করে আমেরিকা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত
এটা সর্বজনবিদিত যে অ্যাপলের মতো অনেক প্রযুক্তি কোম্পানির পণ্য চিনে তৈরি হয়। এখন এখান থেকে আমেরিকায় পণ্য আনা হলে, তাদের উচ্চ শুল্ক দিতে হবে। এই উদ্বেগের কারণে অ্যাপল, এনভিডিয়ার মতো কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপক পতন দেখা গেছে। ফলস্বরূপ মার্কিন শেয়ারবাজারও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সম্ভবত এই কারণেই স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারগুলি আর মার্কিন পারস্পরিক শুল্কের আওতায় আসবে না।
এই পণ্যগুলি পারস্পরিক ট্যারিফের আওতায় আসবে না
ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত উপাদানগুলি পারস্পরিক শুল্কের অধীনে থাকবে না। শুক্রবার, ইউএস সিবিপি 20টি পণ্য বিভাগ তালিকাভুক্ত করেছে যা পারস্পরিক শুল্কের আওতায় ঢুকবে না। এর মধ্যে রয়েছে স্মার্টফোন, কম্পিউটার/ল্যাপটপ টেলিকম সরঞ্জাম, ডিস্ক ড্রাইভ, রেকর্ডিং ডিভাইস, ডেটা প্রসেসিং মেশিন, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড সমাবেশ, ওয়্যারলেস ইয়ারফোন, রাউটারের মতো অনেক প্রযুক্তি পণ্য। এই পদক্ষেপটি অনেক আমদানিকারক এবং অ্যাপলের মতো আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে স্বস্তি দেবে, যারা উত্পাদনের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল।
আরও দেখুন