কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা : নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব যে ব্য়ক্তির, তিনি তা পালন করতে না পারলে, তার ওপর কোপ পড়ে কর্পোরেট অফিসে । তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বও কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে? পারফরম্য়ান্স পর্য়ালোচনার পর কি রাজ্য়জুড়ে তৃণমূলে বড়সড় রদবদল হতে পারে? তেমন গুঞ্জনই এখন রাজনীতির অলিন্দে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘ গায়ে-গতরে আপনি যে পরিশ্রম আপনার নির্বাচনে করেন, সেই পরিশ্রম প্রত্য়েকটা নির্বাচনে করতে হবে।’ এবার কোন নেতা কতটা পরিশ্রম করলেন, সেটাই এবার পরীক্ষা করছে তৃণমূল। এক্কেবারে কর্পোরেট কায়দায়।
কর্পোরেট অফিসের নিয়ম এবার তৃণমূলে ?ক
কর্পোরেট অফিসের নিয়ম, কোনও নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব কেউ পালন করতে না পারলে, টার্গেট অ্যাচিভ করতে না পারলেই , তার ওপর পরে ওপরওয়ালার রোষ। তাহলে কে এবার পার্টিতেও চলবে সেই নিয়ম ? লোকসভা ভোটের পর, দলের নেতাদের ভূমিকা পর্যালোচনা শুরু করল তৃণমূল। যা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি শাসক দল মনে করছে, তাদের একাংশ লোকসভা ভোটে অন্তর্ঘাত করেছে? লোকসভা ভোটে কি সমানভাবে ঝাঁপায়নি সবাই? রিপোর্টে কি সেসব উঠে আসবে? প্রশ্ন অনেক কী বলছে তৃণমূলের অন্দরমহল ?
তৃণমূলে অন্তর্ঘাত?
কলকাতা উত্তরে সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জিতলেও তাঁর ব্যবধান গতবারের তুলনায় এবার কমে যায়। গত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে উত্তর কলকাতার ২০টা ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার সেই সংখ্য়াটা বেড়ে হয় ২৪। লোকসভা ভোটে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে, তৃণমূলের সবাই পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়েছে কিনা, সেই জল্পনা উস্কে দেয় দেড় মাস পর, মানিকতলার উপনির্বাচনের ফলও। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল এগিয়ে ছিল মাত্র সাড়ে ৩ হাজার ভোটে কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই মানিকতলাতেই তৃণমূলের মার্জিন বেড়ে হয় ৬২ হাজার ৩১২। এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে, দলীয় কাউন্সিলরের মন্তব্য়ে, ফের মেলে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত। এসব কিছুুর জটিল সমীকরণ কি স্পষ্ট হয়ে যাবে এই পারফর্ম্যান্স অ্যাপ্রাইজালে ?
কী বলছেন নেতারা ?
‘শীর্ষ নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, সুব্রত বক্সি এরাই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন এই ব্য়াপারে। হতে পারে সাংগঠনিক রদবদল তো এটা একটা লাগাতার প্রক্রিয়া।’ বলছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। আবার মদন মিত্র বলছেন, ‘মমতার মুখ বিক্রি করে, মমতার মুখ সামনে রেখে, আমরা সবাই জিতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢেলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু কে। শুভেন্দু একটা পারফরম্যান্স করেছিল। পারফরমেন্সের পালক পড়ে বিজেপিতে পালিয়ে গেল! ‘
২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কি সত্যিই তৃণমূলে কোনও বড়সড় রদবদল হবে? সবটাই জানা যাবে আগামীতে ।
আরও পড়ুন
জমা জলে মৃত্যুফাঁদ, বাবার চোখের সামনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মেয়ের
আরও দেখুন