কলকাতা জহর সরকারের (Jawhar Sircar Resign) পদত্যাগ ঘোষণার পর তৃণমূলে ‘ডামাডোল’। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে একের পর এক পোস্ট সোশ্য়াল মিডিয়ায়। জহর সরকারের পদত্যাগ ঘোষণার পর একের পর এক পোস্ট।
তৃণমূলে ‘ডামাডোল’: আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের সাংসদ পদ ছেড়েছেন জহর সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। যেখানে তিনি স্পষ্ট করেছেন, ‘কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ ও অনাস্থা আমি আগে দেখিনি।’ আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায়। কোনও পোস্টে লেখা, ‘জহরের বার্তা, নিতে হবে সতর্কতা, অভিষেকদাকে দরকার, গড়তে বলিষ্ঠ সরকার।’ কোথাও আবার লেখা হয়েছে, ‘সময়ের ডাক, বোঝালো জহর, এখনই অভিষেকদা, সাজাক নৌবহর।’
আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকার SIT গঠনের পর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন জহর সরকার।তদন্ত আরও আগে করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। গত ২০ অগাস্টের পোস্টে সন্দীপ ঘোষকে অবিলম্বে সাসপেন্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন জহর সরকার। আর এদিন সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের পাশাপাশি, রাজনীতিও ছাড়তে চান এই অবসরপ্রাপ্ত আমলা। চিঠিতে মূলত দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন জহর সরকার। এক, আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জন-জাগরণ, যা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। এই গণ-আন্দোলন তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তৃণমূল নেত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের কারণ দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দেওয়া। কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ ও অনাস্থা আমি আগে দেখিনি। আর জি কর-কাণ্ডে আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, খুবই সামান্য, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে লিখেছেন জহর সরকার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: R G Kar Protest: আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবি, শহরজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ
আরও দেখুন