কলকাতা: দলেরই সাংসদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে চিঠি ছয় বিধায়কের। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে চিঠি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি উজ্জ্বল বিশ্বাস, কল্লোল খাঁ, রুকবানুর রহমান, বিমলেন্দু সিংহ রায়, মানিক ভট্টাচার্য, নাসিরুদ্দিন আমিরদের। অভিযোগ, ‘আলোচনা ছাড়াই সাংগঠনিক রদবদল করছেন জেলা সভানেত্রী মহুয়া’। মহুয়া এমন করলে সংগঠনের কাজ করা সম্ভব নয় বলে মমতাকে জানালেন বিধায়করা। (Mahua Moitra)
মহুয়া কৃষ্ণনগরে তণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। অন্য দিকে, রুকবানুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান। সম্প্রতি মহুয়ার বিরুদ্ধে মমতার কাছে নালিশ জানিয়েছেন রুকবানুর-সহ ছয় বিধায়ক। তাঁদের দাবি, সাংগঠনিক কাজকর্ম চালানোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করছেন মহুয়া। কিছু জানানো পর্যন্ত হচ্ছে না তাঁদের। (Mamata Banerjee)
ছয় বিধায়কের অভিযোগ, সম্প্রতি ১৭৮ জন বুথ সভাপতি এবং ১৭ জন অঞ্চল সভাপতিকে বদল করেছেন মহুয়া। কিন্তু তা নিয়ে বিধায়কদের কিছু জানাননি তিনি, চেয়ারম্যানদেরও কিছু জানাননি। এর ফলে সাংগঠনিক জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দল। গোটা বিষয়টি জানিয়ে মমতাকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। বিহিত চেয়েছেন।
যদিও এই প্রথম নয়, আগেও দলের অন্দরে বিদ্রোহের মুখে পড়েছেন মহুয়া। ২০১৯ সালে যখন কৃষ্ণনগরে জেতেন মহুয়া, তাঁকে নদিয়া উত্তরের সাংগঠনিত জেলার সভানেত্রী করা হয়েছিল। গোড়া থেকেই সেখানে তাঁকে নিয়ে অসন্তোষ ছিল নেতাকর্মীদের মধ্যে। ২০২১ সালে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মহুয়াকে, দায়িত্ব পান জয়ন্ত সাহা। পরে দায়িত্ব পান কল্লোল। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি। মহুয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই তিনি সরতে চেয়েছিলেন বলে জানা যায় সেই সময়।
গত বছর সাংসদ পদ চলে যাওয়া নিয়ে যখন জোর বিতর্ক, ঘুষ নিয়ে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে যখন তদন্ত চলছে, সেই সময় মহুয়াকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলে সভাপতি পদে মহুয়াকে বসান মমতা। এবছর লোকসভা নির্বাচনে ফের কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন মহুয়া। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই সেখানে সংগঠনে রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মহুয়া। দলীয় স্তরে আলোচনার চলছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই মহুয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ দলেরই বিধায়কদের।
আরও দেখুন