‘যদি ব্রিজের তলায়ও…’, মহাকুম্ভে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা তৃণমূল সাংসদ রচনার ?
<p><strong>কলকাতা :</strong> এক বছর ধরে প্রস্তুতি, তাও কীভাবে অমৃত-স্নানে অঘটন ঘটল ? কাদের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা ? কুম্ভমেলার পাশে বিকল্প সেতু থাকলেও কেন বন্ধ ছিল ? মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিলের পর এমনই একের পর এক প্রশ্ন তুলে যোগী সরকারকে বিঁধেছিল রাজনৈতিক মহল। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদব সকলেই নিশানা শানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের দিকে। <a title="গঙ্গাসাগর" href="https://bengali.abplive.com/topic/gangasagar-mela" data-type="interlinkingkeywords">গঙ্গাসাগর</a>ের প্রস্তুতির সঙ্গে মহাকুম্ভের তুলনা টেনে এক্স হ্যান্ডেলে খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। যদিও এই দুর্ঘটনার পর মহাকুম্ভের সামগ্রিক চিত্র অনেক পাল্টে গেছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বসন্ত পঞ্চমীতে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান এবং সেখানকার ব্যবস্থাপনায় আপ্লুত তৃণমূল সাংসদ।</p>
<p>রচনা বলেন, "সার্বিক ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাকই লেগেছে। ভীষণ সুসংগঠিত। বাথরুম থেকে আরম্ভ করে, মানুষের থাকা থেকে আরম্ভ করে, যাঁরা হোটেলে থাকতে পারছেন না তাঁদের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ত্রিপল খাটিয়ে, কাপড় টাঙিয়ে ঢেকে দেওয়া যাতে মানুষ থাকতে পারেন মাথা গুঁজে। রাস্তার ওপরেও যাতে মানুষকে শুতে না হয়, তার উপরে কাপড় লাগানো রয়েছে। সবথেকে বড় কথা হোটেলে জায়গা নেই। থাকবে কোথায় গিয়ে মানুষ ? যাঁরা ঢুকছেন, লাখো লাখো মানুষ হেঁটে ঢুকছেন। তাঁরা থাকবেন কোথায় ? তাঁরা যদি ব্রিজের তলায়ও থাকেন, সেটাও কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা আলাদা করে বাথরুম তৈরি করা হয়েছে রাস্তায় রাস্তায়। সব জায়গায় বাথরুম। খুবই ভালো ব্যবস্থাপনা।"</p>
<p>তাঁর সংযোজন, "হ্যাঁ নিশ্চয়ই একটা অঘটন ঘটে গেছে। ওরকম একটা ঘটনা ঘটছে। সেটা তো নিশ্চয়ই খুব চিন্তার বিষয়। সেই ঘটনা ঘটার পর থেকে তাঁরা আরও সজাগ হয়ে গেছে। এখন সাঙঘাতির রকমের সবকিছু বিধি-নিষেধ হয়ে গেছে। কিন্তু, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ভালো।" </p>
<p>তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, "একটা অঘটন ঘটেছে। যেটা হওয়ার কথা ছিল না। যদি প্রশাসনিক ব্যবস্থা এত সুন্দর, তাহলে সেরকম ঘটনা হওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু, যা-ই হোক, যেটা হয়েছে সেটা ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক। সেটা হওয়ার পরে…যাতে কোনও রকম স্পেশাল কিছু না থাকে…যাতে সবাই সাধারণভাবে যেতে পারেন। রাস্তাঘাটে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। মানুষ যাতে নিরাপদে হাঁটতে-চলতে পারে। একটা নির্ধারিত জায়গার পর থেকে আর গাড়ি চলছে না। কোনও স্পেশাল দর্শন কিছু নেই। সবাইকে হেঁটে যেতে হবে। একটা পয়েন্টের পর আর কোনও গাড়ি ঢুকবে না। তুমি যত বড়ই লোক হও না কেন, তোমায় হেঁটেই যেতে হবে। স্পেশাল দিনগুলির জন্য বেশি রেস্ট্রিকশন করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের ভিড় প্রচুর হচ্ছে। সেই জন্য স্পেশাল দিনগুলোতে রেস্ট্রিকশন করে দিয়েছে। সাধারণ দিনগুলোতে তবুও একটু গাড়ি-ঘোড়া চলছে। তাও সাধারণ মানুষের চলার জন্য এখন যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থাপনা করে দিয়েছে। ওভারঅল অভিজ্ঞতা খুব ভালো।"</p>
Source link