কলকাতা : দলীয় সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে শ্রেষ্ঠ বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ! এনিয়ে মঞ্চেই খোঁচা দিলেন ব্রাত্য বসু । ‘দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি, তার কারণ আমাদের শ্রেষ্ঠ এমএলএ সায়ন্তিকা আমাকে ডেকেছেন।’ বরানগরের অনুষ্ঠান মঞ্চে সায়ন্তিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌগত। ‘সায়ন্তিকাকে শ্রেষ্ঠ বলে চিরতরুণ মনের পরিচয় দিচ্ছেন সৌগতদা’, মন্তব্য ব্রাত্যর। কিন্তু কার পক্ষে বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা ? সৌগত না ব্রাত্যর ? সেই জবাব দিলেন তিনি।
এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে সৌগত বলেন, “আমাদের তো সায়ন্তিকা আছেন। আগে তাপস ছিলেন। তিনি খুব হম্বতম্বি করতেন। কিন্তু, সায়ন্তিকা কারো উপর হম্বিতম্বি করেন না। ভালোবেসে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। সেইজন্যই উনি ব্রাত্যকে নিয়ে আসতে পেরেছেন। আজ এখানে আসতে আমি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে…ইদের নমাজে যাচ্ছিলাম। লোকের বাড়িতে ইদের খাবার খাচ্ছিলাম। কিন্তু, আমি দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি, তার কারণ আমাদের শ্রেষ্ঠ এমএলএ সায়ন্তিকা আমাকে ডেকেছেন। আর আমাদের শ্রেষ্ঠ মন্ত্রী ব্রাত্যকে উনি ধরে এনেছেন।”
দলীয় সাংসদের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বললেন, “অশক্ত শরীর, কিন্তু সৌগতদা কখনও অথর্ব নন। সবসময় চিরতরুণ। তিনি বললেন যে, আমার শ্রেষ্ঠ বিধায়ক সায়ন্তিকা। ঘটনাচক্রে আমিও বিধায়ক। এখন এই যে ৬ মাসের মধ্যে বা ৭ মাসের মধ্যে এই যে শ্রেষ্ঠ বিধায়ক হিসাবে সায়ন্তিকাকে সৌগতদা বেছে নিতে পারছেন, এ তাঁর চিরতরুণ মনের একটা গভীর এবং অসীম ফলাফল। সৌগতদা দাবি করলেন যে, সায়ন্তিকার জন্য আমি এসেছি । আমাদের বিধানসভায় মোস্ট গ্ল্যামারাস এমএলএ…কোনও সন্দেহ নেই। উনি একজন অভিনেত্রী। সবাই আপনারা জানেন। কিন্তু, সৌগতদা বলার কারণেই আমার এখানে আসা। দুজনকেই অনেক ধন্যবাদ।”
অন্যদিকে, এই ইস্যুতে সায়ন্তিকার মন্তব্য, “আমাদের শ্রেষ্ঠ সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়। উনি আমাদের প্রাণের মানুষ। উনি ভীষণই ভালো… উনি কথা বলেন যখন তখন প্রত্যেকেই আমরা ওঁর কথা স্টুডেন্টের মতো শুনি। উনি আমাকে আশীর্বাদ করেন, সাহায্য করেন, সমর্থন করেন। আমি কৃতজ্ঞ তাঁর কাছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে।”
সম্প্রতি বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছিল কাউন্সিলর তথা এলাকার জনপ্রিয় নেতা সজল ঘোষকে (Sajal Ghosh)। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। যিনি লোকসভা ভোটের টিকিট না পেয়ে অভিমানে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পরে অবশ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কথা বলে, অভিমান ভাঙান। তারপরই সায়ন্তিকাকে বরানগর উপনির্বাচনের প্রার্থী করা হয়। ৮ হাজার ১৮ ভোটে জেতেন সায়ন্তিকা। ৬৮ হাজার ৮৯৯ ভোট পান তিনি।
আরও দেখুন