কলকাতা: তৃণমূলের সংগঠনে কি এবার বড় ধরনের রদবদল ঘটতে চলেছে? এবার এই প্রশ্ন উস্কে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেউ মর্মে একগুচ্ছ সুপারিশ করলেন তিনি। জোড়াফুল শিবির সূত্রে খবর, ১০টির বেশি জেলার সভাপতি বদলের সুপারিশ করেছেন অভিষেক। পুরসভা স্তরেও একগুচ্ছ রদবদলের সুপারিশ করেছেন। কোন কোন জেলার কথা অভিষেক বলেছেন, তা যদিও জানা যায়নি। তবে এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
সম্প্রতি চিকিৎসা করিয়ে দলের কাজে ফিরেছেন অভিষেক। মমতার বাড়ির কালীপুজোতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর সেসব মিটতেই দলের সংগঠন নিয়ে মমতাকে একাধিক সুপারিশ করেছেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিষেক জানিয়েছেন, আনুগত্য নয়, পারফরম্যান্সই শেষ কথা বলে বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। বীরভূম নিয়েও অভিষেক নিজের মতামত জানিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে বেরিয়ে এলেও, বীরভূমে কোর কমিটি থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার জন্মদিন ছিল অভিষেকের। কালীঘাটে তাঁকে অনুগামীদের মাঝে কেক কাটেন তিনি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় উপচে পড়ে সেখানে। কালীঘাটে দলীয় কার্যালয় থেকেই অভিষেক জানান, চিকিৎসা করাতে বিদেশ যাওয়ার আগেই একগুচ্ছ খসড়া সুপারিশ করে গিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি পুর এলাকায় রদবদলের সুপারিশ করেছেন অভিষেক। জেলা সভাপতি পদেও রদবদল ঘটানোর কথা বলেছেন তিনি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
অভিষেক জেলাস্তরে যে রদবদলের কথা বলেছেন, তার মধ্যে বীরভূমও রয়েছে। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে নেতৃত্ব সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতেই সেখানে জয়লাভ করে তৃণমূল। কাজল শেখের নেতৃত্বে কোর কমিটির গুরুত্ব বেড়ে যায় তাতে। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে অনুব্রত বীরভূমের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সামনে আসছে।
আরও দেখুন