ABP Ananda Live: তৃণমূলের সংসদীয় দলে গৃহযুদ্ধ! কীর্তি আজাদ থেকে শুরু করে সৌগত রায় ও এক মহিলা সাংসদ। একযোগে দলের তিন সাংসদকে নিশানা করলেন কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বিজেপির IT সেলের প্রধান অমিত মালব্য, সোশাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূলের কোন্দল সামনে নিয়ে এসেছেন। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার নির্বাচন সদনের সামনে তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদ নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তখনই তাঁকে এক মহিলা সাংসদ গ্রেফতার করানোর হুঁশিয়ারি দেন বলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ। অন্যদিকে সেই ভিডিও নিয়ে সৌগত রায় মন্তব্য করেন, “হয়তো কারও হাতে বেশি ক্ষমতা চলে যাওয়ায় তিনি অপব্যবহার করেছেন।” এরপরই নারদার প্রসঙ্গ টেনে বর্ষীয়ান সাংসদকে চোর বলে আক্রমণ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। যদিও কীর্তি আজাদ ও কোনও মহিলা সাংসদ কল্যাণের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেননি। দলের কে কী করে সবাই জানে। যা হচ্ছে, তা লোক দেখানো। কার্যত এভাষাতেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
রাত কাটছে শহিদ মিনার চত্বরে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রমে চাকরিহারারা
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অনুরোধ সাড়া দিয়ে স্কুলে গেলেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট দিশা না মেলায় আগামীদিনে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিচ্যুতরা। দুর্নীতির কথা এড়িয়ে কেন অযোগ্যদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
স্কুলে গেলেন না চাকরিহারারা: স্বেচ্ছাশ্রমের আবেদনে সাড়া মিলল না। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলমুখী হচ্ছেন না চাকরিহারারা। আরও একটা রাত কাটালেন শহিদ মিনার চত্বরে খোলা আকাশের নীচে। উগরে দিলেন ক্ষোভ। চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “আমরা চরমপন্থী আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি। স্কুলে তো আমরা যাবই না। প্রথমত, মিরর ইমেজ আপনারা কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন, কোথায় আছে, খুঁজে বার করুন, প্রোডিউস করুন যে কোনও মূল্যে। দুই নম্বর, যোগ্য-অযোগ্যের লিস্ট আলাদা করে, সার্টিফায়েড করুক SSC, এটা সুুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নয়, এটা SSC’র দায়িত্ব আলাদা করা। তৃতীয়ত, আমরা আর কোনও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। কারণ, এটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক, আমাদের কাছে ভলান্টারি সার্ভিস দেওয়া অসম্মানজনক।