NOW READING:
‘২০০-র টার্গেট দিয়ে যারা ৭৭ পায়, ১৮০-র টার্গেট সেট করে তারা ফাইনালি কত পেতে পারে?’ !
March 21, 2025

‘২০০-র টার্গেট দিয়ে যারা ৭৭ পায়, ১৮০-র টার্গেট সেট করে তারা ফাইনালি কত পেতে পারে?’ !

‘২০০-র টার্গেট দিয়ে যারা ৭৭ পায়, ১৮০-র টার্গেট সেট করে তারা ফাইনালি কত পেতে পারে?’ !
Listen to this article


ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কারও টার্গেট ছিল ২০০ আসনে জয়। তো কেউ বিজেপিকে বাংলায় একটিও আসন না দেওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। মেলেনি কারও কথাই। ফলে রাজনীতিবিদরা টার্গেট বেঁধে দিলে সেটাই যে মিলে যায়, এমনটা নয়। বাংলার রাজনীতিতে একাধিকবার দেখা গেছে এই তথ্য। 

একসময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায় ২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি। দু হাজার একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ২০০ আসনের টার্গেট বেধে দিয়ে শেষ অবধি ৭৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী যখন অন্তত ১৮০টি আসনের লক্ষ্য়মাত্রা ঠিক করছেন, তখন কটাক্ষের সুর শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের গলায়।

সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের IT সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছেন, ২০০-র টার্গেট দিয়ে যারা ৭৭ পায়, ৩৫-এর টার্গেট দিয়ে যারা ১২ পায়, ১৮০-র টার্গেট সেট করে তারা ফাইনালি কত পেতে পারে? ঐকিক নিয়মের অঙ্ক কী বলছে? ২০০-র ৭৭ হল প্রায় ৩৮% । ৩৫-এর ১২ হল ৩৪% । বিধানসভা ট্রাক রেকর্ড ধরলে তারা সেট করা টার্গেটের ৩৮% হাসিল করতে পারে। সুতরাং, ১৮০-র ৩৮% হয় ৬৮-টি আসন। এবং লোকসভার ট্র্যাক রেকর্ড ধরলে ১৮০-র ৩৪%। অর্থাৎ ৬১-টি আসন।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন হল, অতীতে বিজেপির একারই কি ভবিষ্য়দ্বাণী ব্য়র্থ হয়েছে, না কি অতীতে তৃণমূলের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে? ২০১৭-এর ২১ জুলাইয়ে মঞ্চ থেকেই ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘১৯ সালেও মনে রাখবেন বিজেপিকে তাড়াব। একটা সিটও বাংলা থেকে নিতে দেব না। আর সারা দেশে লড়াই করব।’ শেষ অবধি ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা যায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভবিষ্য়দ্বাণী একেবারেই সঠিক প্রমাণিত হয়নি।

উল্টে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভাল করে বিজেপি।বাংলা থেকে ১৮টি আসন পায়।আবার পাঁচ বছর বাদে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে অমিত শাহের গলায় শোনা যায় ৩৫টি আসনের কথা।সেসময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহ বলেছিলেন,বাংলায় ৩৫ এর বেশি সিট ভারতীয় জনতা পার্টিকে দিয়ে মোদীজিকে প্রধানমন্ত্রী বানান। ২৪ সালে ৩৫ সিট দিন, আমি বলছি, ২৫ এর দরকার নেই। ২৫ এর আগেই মমতা দিদির সরকার পড়ে যাবে।’ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা যায় বাংলা থেকে ৩৫টি আসন তো দূরের কথা।

আরও পড়ুন, রাস্তার উদ্বোধনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে দিলীপ, মেজাজ হারিয়ে বললেন, ‘এরা কিছু করতে দেয় না, ঘেউ ঘেউ করে..’!

 মাত্র ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি । তৃণমূল জয়ী হয় ২৯ টি আসনে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোটের আগে ভবিষ্য়দ্বাণী করে আসলে সব দলেরই শীর্ষ নেতারা নেতা-কর্মীদের উদ্ধুব্ধ করার চেষ্টা করেন।”যদি তুমি সুখী হতে চাও, তাহলে এমন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ কর, যা তোমার চিন্তাভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে, তোমার শক্তিকে মুক্ত করবে এবং তোমার আশাকে অনুপ্রাণিত করবে।” জীবনে টার্গেট সেট করা নিয়ে এমনই বলেছিলেন মার্কিন শিল্পপতি অ্যান্ড্রু কার্নেগি। রাজনীতিবিদরাও ভোটের লক্ষ্য়ে সেই পথেই হাঁটেন।

আরও দেখুন



Source link