সত্যজিৎ বৈদ্য, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা:পহেলগাঁওকাণ্ডে গোয়েন্দা ব্য়র্থতার অভিযোগ তুলতে গিয়ে, বিরোধীদের ওপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তার প্রসঙ্গ টেনে আনল তৃণমূল। আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে না পাঠিয়ে দেশের সুরক্ষার কাজে লাগান। বিজেপি সরকার দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে দেশকে বিক্রি করবেন না। বিজেপি সরকারের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও প্রশ্ন তোলেন, এত জঙ্গি ঢুকছে, আমরা আটকাতে পারছি না কেন? কেন ইনটেলিজেন্স বারবার ফেল করছে? পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন, OBC সংরক্ষণ ইস্যুতে চাপানউতোর, কীসের ভিত্তিতে সংরক্ষণের তালিকা রাজ্যের ? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী; বড় প্রশ্ন শুভেন্দুর
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাঠের আলোচনাতেও উঠে এল কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থার অভিযোগের প্রসঙ্গ!কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে না পাঠিয়ে দেশের সুরক্ষার কাজে লাগান। মোদি সরকারকে খোঁচা দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। বর্ডার পেরিয়ে পহেলগাঁওয়ে কীভাবে ঢুকে পড়ল জঙ্গিরা? সেনিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।কেন আগে থেকে হামলার খবর ছিল না গোয়েন্দাদের কাছে? প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে দেশকে বিক্রি করবেন না।বিজেপি সরকারের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তিনি বলেন, পুলওয়ামা থেকে যেন শিক্ষা নিই। ইলেকশন এলে আর যেন কোনও পুলওয়ামা না হয়। রাজ্যপাল তো পুলওয়ামার আগে বলেছিলেন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্য়মন্ত্রীর অনুমোদিত ২২ মিনিটের জায়গায় প্রায় ৪০,৪৫ মিনিটের ভাষণে তিনি এমন কিছু বাক্য় প্রয়োগ করেছেন তাতে আমার মনে হয়েছে যে শাহবাজ শরিফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার আইনজীবী হয়ে মুখ্য়মন্ত্রী কথা বলছিলেন। কার্যত তৃণমূলের সুরেই ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন ,’এত জঙ্গি ঢুকছে, আমরা আটকাতে পারছি না কেন?আমার প্রশ্ন, জঙ্গিরা ধর্ম দেখে দেখে গুলি করার সময় পেল কী করে? কেন ইনটেলিজেন্স বারবার ফেল করছে?’
বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, হিন্দু মারা হয়েছে। পহেলগাঁওয়েও তাই। যাদের মারা হয়েছে তাঁরা হিন্দু তাঁদের জীবন নেওয়া হয়েছে। একজন শুধু মুসলিম মারা গেছে। একজন খ্রিস্টান বুঝতে পারেনি মারা গেছে। যে মুসলিম মারা গেছে সেটা কোলাটেরাল ড্য়ামেজ।এরইমধ্য়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব জমা দিয়েছে তৃণমূল। প্রস্তাবে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তান বা শাহবাজ শরিফ, বিধানসভার ভিতরে কোনও বক্তব্য রাখেননি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাই এই স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব।