কলকাতা : চোখের চিকিৎসার জন্য় ২২ দিন বিদেশে থাকার পর শুক্রবারই কলকাতায় ফেরেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এরই মধ্য়ে গোটা শহর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পোস্টার-ব্য়ানারে ছেয়ে যায়, যার সিংহভাগেই দেখা যায় শুধু মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ছবি। 

লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সংগঠন থেকে ছোট্ট বিরতির ঘোষণা করায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এক্স হ্য়ান্ডেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছিলেন, ‘কিছু চিকিৎসার প্রয়োজনে, আমি সংগঠন থেকে ছোট্ট বিরতি নিচ্ছি। এই ছুটি আমাকে বিনীতভাবে আমাদের মানুষ এবং সম্প্রদায়ের চাহিদাগুলি অন্বেষণ করতে ও বুঝতে সুযোগ দেবে। আমি বিশ্বাস করি যে, রাজ্য সরকার দ্রুত কাজ করবে এবং যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কোনও কসুর করবে না।’ সোশাল মিডিয়ায় তাঁর এই পোস্টের ভাষার মধ্য়েও অনেকে নানা রাজনৈতিক তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছিলেন। 

যদিও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে হাজির হয়ে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় তাঁর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণও জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, ‘এই এক-দেড় মাস কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আপনারা আমায় দেখেননি। তার কারণ পর্যালোচনার কাজে আমি ব্যস্ত ছিলাম। আগামী তিন মাসের মধ্যে এর ফল আপনার দেখবেন। আমি এক কথার ছেলে । কথা দিয়ে কথা রাখি।’ 

এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় অভিষেকের গলায় একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে ছিল দল ও সংগঠন নিয়ে কথা। দলের আগামী লক্ষ্য কী হবে, কারা গুরুত্ব পাবেন সেকথা পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘আগামীর লড়াই আরও বৃহত্তর। ২০২৬-এর জন্য এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। পুরসভা, পঞ্চায়েতে যাঁরা আছেন, তাঁদের নিজেদের কথা ভাবলে হবে না। কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। দল কিন্তু ফলের পর পর্যালোচনা করবে। পুরভোটে আমি টিকিট পাব, আর লোকসভার সময় দল ফল পাবে না, দল আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। নিজের নির্বাচনের মতো সব নির্বাচনে পরিশ্রম করতে হবে। এই এক দেড় মাস পর্যালোচনার মধ্যে ছিলাম আমি। যাঁরা দমবন্ধ হয়েছে বলে চলে গেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে। তবে সৈনিকদের তাঁদের উপর ছড়ি ঘোরাতে দেওয়া হয়নি।’

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

আরও দেখুন



Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *