জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত শুক্রবার অর্থাত্ ২০ সেপ্টেম্বর বুকে ব্যথা নিয়ে বিধাননগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতাকে। চলতি বছরে তিন বার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্যনির্দেশককে । প্রথম বার ভর্তি করানো হয় জুলাই মাসে। সেই সময় তাঁর পেসমেকার বসানো হয়। এরপরে অগাস্টের শেষেও তাঁকে ভর্তি করানো হয়। ফের শুক্রবার ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। সঙ্কটজনক হলেও ফিরেছে জ্ঞান, এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন- Rhea Singha: মাত্র ১৯-এই মুকুটজয়ী, দেশের প্রতিনিধিত্ব এবার বিশ্বমঞ্চে…
পারিবারিক সূত্রের খবর, হৃদরোগের সমস্যার পাশাপাশি রক্তচাপও অনিয়ন্ত্রিত। রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। পটাশিয়াম -সোডিয়ামও ওঠানামা করছে। সব মিলিয়ে অবস্থা সঙ্কটজনক। হাসপাতাল থেকে পাওয়া অভিনেতার হেলথ বুলেটিন অনুযায়ী, মনোজ মিত্র হাসপাতালে এইচডিইউতে ভর্তি রয়েছেন। অবস্থা সঙ্কটজনক। হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস, মেলাইটাস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ সহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ায় রক্তচাপ খুবই কমে যায় বর্ষীয়ান অভিনেতার। প্রথম থেকেই আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। রাখা হয় বাইপ্যাপ সাপোর্টে। টানা চারদিন ভেন্টিলেশনে আছেন তিনিফ সোমবার সকাল থেকেই মনোজ মিত্রের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সোমবার সকালেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, অভিনেতা সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন। এদিন বিকেলে জানা গেল যে মাঝে মাঝে জ্ঞান ফিরছে তাঁর। এমনকী চিকিত্সকের অনুমতিতে বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের চিনতেও পেরেছেন বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন- Threat Culture | Tollywood: টলিপাড়া-তেও চলছে ‘থ্রেট কালচার’! গিল্ডকে বিঁধে গায়ে কেরোসিন মহিলার…
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখে ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। তবে পড়াশোনা করেন কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে। মঞ্চ থেকে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু ১৯৫৭ সালে। ১৯৫৯ সালে তিনি লেখেন তাঁর প্রথম নাটক মৃত্যুর চোখে জল। বিভাষ চক্রবর্তী নির্দেশনায় ১৯৭২সালে চাঁকভাঙা মধু নাটকের মাধ্যমেই নাট্য জগতে পা রাখেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন ১৯৭৯ সালে। সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, শক্তি সামন্ত, গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকদের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন। তবে শুধু অভিনয়ের সঙ্গেই নন, তিনি ছিলেন শিক্ষকও। বিভিন্ন কলেজে দর্শন বিষয়েও শিক্ষকতা করেন তিনি। পরবর্তীতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন তিনি। একসময় পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির দায়িত্বও পেয়েছিলেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)