NOW READING:
‘শূন্য পদ অনুযায়ী মেধা তালিকা মেনে চাকরি হবে..’ !
February 12, 2025

‘শূন্য পদ অনুযায়ী মেধা তালিকা মেনে চাকরি হবে..’ !

‘শূন্য পদ অনুযায়ী মেধা তালিকা মেনে চাকরি হবে..’ !
Listen to this article



<p><strong>কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায় ও আশাবুল হোসেন , কলকাতা:</strong> ২০২২-২৩, পরপর দুবছর টেট হয়েছে, কিন্তু নিয়োগ হয়নি। আর ২৪-এ তো পরীক্ষাই হয়নি! ফলে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এই প্রেক্ষিতে পর্ষদ সভাপতি জানালেন, "টেট এবং নিয়োগ এক নয়। টেট পাস করেছেন মানে এই নয় যে, চাকরি পাওয়ার যোগ্য। দেখতে হবে শূন্য পদ আছে কিনা।"&nbsp;</p>
<p>নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে। পরীক্ষা হচ্ছে। রেজাল্ট বেরোচ্ছে। টেট পাস করছেন অসংখ্য় চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। আর এই আবহেই চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি &nbsp;গৌতম পাল , টেট এবং নিয়োগ এক নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টেট একটা সূচক মাত্র। পঞ্চাশের মধ্যে ৫ নম্বর থাকে টেটের জন্য। টেট পাস করেছেন মানে এই নয় যে, চাকরি পাওয়ার যোগ্য। আমাকে দেখতে হবে শূন্য পদ আছে কিনা। তখনই বিজ্ঞপ্তি দেব, যখন সরকার শূন্য পদ দেবে। তথ্য় বলছে, তৃণমূল সরকারের আমলে, ৫ বার প্রাইমারি TET হয়েছে।</p>
<p>২০১২ সালে যে TET হয়েছে। তাতে ১৭ হাজারের মতো নিয়োগ হলেও, দুর্নীতির অভিযোগে, তা আদালতে বিচারাধীন। এরপর, ২০১৪ সালে, প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরীক্ষা হয় ২০১৫-এ। সেই টেটেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যার তদন্ত করছে CBI. ২০১৭ সালের, ৯ অক্টোবর ফের টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তার পরীক্ষা হয় ২০২১-এর ৩১ জানুয়ারি। রেজাল্ট বের হয়, বাইশের ১০ জানুয়ারি। অর্থাৎ পরীক্ষার ১ বছর পর। ২০২৪-এ ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নিয়োগ হয়। এরপর ২০২২- ফের টেট পরীক্ষা হয়। ফল বের হয় ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু নিয়োগ-প্রক্রিয়াই হয়নি। ২৩-এর ডিসেম্বরে ফের টেট হয়। তার রেজাল্ট এখনও বের হয়নি। আর ২০২৪ সালে তো পরীক্ষাই হয়নি। কিন্তু, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই সভাপতিই বছর বছর TET পরীক্ষার আশ্বাস দিয়েছিলেন।</p>
<p>&nbsp;প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন , পরীক্ষা আর নিয়োগ দুটো আলাদা বিষয়। নিয়োগ দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন বলে নিয়োগ হচ্ছে না। এনসিটিই এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। প্রত্য়েক বছরই পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগে বলেছিলাম, বছরে দুবার নিয়োগ করা যাবে। কেন করা গেল না? মামলা করেছিলেন অনেকে। আমরা <a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://bengali.abplive.com/topic/supreme-court" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ে মামলা লড়ে, নিয়োগ দিয়েছি।শূন্যপদ কত, বলা যাবে না। সরকার থেকে শূন্য পদ পাইনি। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে শূন্যপদ চেয়েছি। শূন্য পদ অনুযায়ী মেধা তালিকা মেনে চাকরি হবে। <a title="টেট" href="https://bengali.abplive.com/topic/tet" data-type="interlinkingkeywords">টেট</a> পাস করলেই হবে না। মুখ্য়মন্ত্রী আবার অতীতে চাকরি আটকে যাওয়ার জন্য় বারবার কখনও বিরোধী দল, কখনও মামলাকে দায়ী করেছেন।পুরনো বক্তব্য় নিয়ে এখন নতুন সাফাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির গলায়।</p>
<p>মুখ্যমন্ত্রী &nbsp; <a title="মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়" href="https://bengali.abplive.com/topic/mamata-banerjee" data-type="interlinkingkeywords">মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়</a>, বলেছিলেন, সরকারি চাকরি ৫ লক্ষ আমরা চাই অ্যাপয়েন্ট করতে। কিন্তু সিপিএম আর বিজেপি নেতাদের বলুন, দয়া করে বেকার যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যত নষ্ট না করবার জন্য। এত টিচার নেওয়া হবে, এত পোস্ট খালি আছে। আপনাদের জন্য নিতে পারছি না। মানে এই বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেসের নেতাগুলোর জন্য। যেই আমরা রেডি করছি, টুক করে একটা কেস ঠুকে দিচ্ছে। &nbsp;আর সেই একই যুক্তি শোনা যাচ্ছে পর্ষদ সভাপতির মুখেও!কিন্তু বিরোধীরা এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে।সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য় &nbsp;সুজন চক্রবর্তী বলেন, চেয়ারম্য়ান গৌতম পাল একেবারে গলা ফুলিয়ে বলেছিলেন বছরে দুবার পরীক্ষা হবে, দু বার নিয়োগ হবে। তারপর? ৫০ হাজার শূন্য় পদ, অথচ নিয়োগ নেই।</p>
<p>আরও পড়ুন,<a title=" ‘৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি হতে পারে..’ ! মমতার-সরকারের বাজেটের আগে শুভেন্দুর মুখে সম্ভাব্য তালিকা ?" href="https://bengali.abplive.com/district/wb-budget-2025-suvendu-adhikari-attacks-mamata-banerjees-government-probable-budget-1119973" target="_self"> ‘৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি হতে পারে..’ ! মমতার-সরকারের বাজেটের আগে শুভেন্দুর মুখে সম্ভাব্য তালিকা ?</a></p>
<p>এদিকে, মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে… সুপ্রিম কোর্টে OBC সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন থাকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্য়ালয় শিক্ষা অধিকার থেকে শ্রেণিভিত্তিক শূন্য়পদের সংখ্য়া পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পর্ষদও প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, TET নিয়োগের অন্য়তম সূচক মাত্র। মোট ৫০ নম্বরের মধ্য়ে টেটের জন্য় বরাদ্দ রয়েছে ৫ নম্বর। অসংখ্য় তরুণ-তরুণী বেকার। সরকারি চাকরির জন্য় খাটছেন। এক একটা করে বছর পেরোচ্ছে, বয়স বাড়ছে, সেইসঙ্গে নিয়োগে নিত্য়নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে! তাহলে এই কর্মপ্রার্থীরা যাবেন কোথায়?</p>



Source link