# Tags
#Blog

বেতন চাইতে এসে কেঁদে ভাসালেন চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী

বেতন চাইতে এসে কেঁদে ভাসালেন চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী
Listen to this article


সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: বকেয়া বেতন চাইতে এসে কেঁদে ভাসালেন হুগলি- চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী একজন মহিলা কর্মী (Hooghly-Chinsurah Municipality)। বেতনের দাবিতে ঘেরাও করলেন হুগলি-চুঁচড়া পুরসভার প্রধানকেও। দেখালেন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও।

বিক্ষোভকারীদের সূত্রে জানা গেছে, বেতন হয়নি দু’মাস। সংসার চলছে না,কবে বেতন দেওয়া সেই বিষয়েও কোননও সদুত্তর নেই পুরসভার। তাই আজ বেতন দিন চেয়াম্যানের কাছে এই দাবি জানিয়ে কেঁদে ফেললেন একজন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী।

গত কয়েক মাস ধরে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। দুমাস পর তাঁদের বেতন দেওয়া হয় এক মাসের। একটা সময় মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পেতেন তাঁরা। এখন মাস শেষ হয়ে গেলেও বেতন কবে মিলবে তার কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। তাই সোমবার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বকেয়া বেতনের দাবিতে। সদুত্তর না মেলায় কাজ বন্ধ করে দেয়। রাতের শহর অন্ধকারে ডুবে যায় রাস্তার আলো না জ্বালানোয়। তবে আজ সকাল থেকে দেখা যায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্ট্রিট লাইট জ্বলছে। কে বা কারা ওই আলো জ্বালালো তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে আজ পুরসভায় বকেয়া বেতনের দাবিতে জড়ো হন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীরা। যাঁরা গার্ডের কাজ করেন তাঁরাও শামিল হন। বকয়ে বেতনের দাবিতে চেয়ারম্যান-কে ঘেরাও করেও রাখা হয়।
মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, তাঁরা আজ বেতন নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।

তাঁদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী গীতা পাল বেতন চাইতে এসে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন,”আমরা দুমাস হয়ে গেল বেতন পাইনি। এখন নভেম্বর মাসও শেষ হতে চলল। কেন পাচ্ছি না জানি না।কবে বেতন হবে চেয়ারম্যান কিছু বলছে না। এদিকে আমাদের সংসার চলছে না ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, ধার করে আর কত চালাবো।”

পুরসভার একজন অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী শেখ তাজউদ্দিন বলেন,আগে আমরা মাসের ৮ তারিখে বেতন পেতাম। এখন দুমাস বাকি হয়ে আছে। কাজ করছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। কী করে চলবে।চেয়ারম্যান বসে আছেন। কিন্তু, কিছু বলছেন না।

প্রশাসন সূত্রে খবর, হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় প্রায় আড়াই হাজার অস্থায়ী কর্মী আছে। যাঁরা দিন মজুরিতে কাজ করেন। গত কয়েক মাস ধরে যাঁদের বেতন দিতে হিম-সিম খেতে খাচ্ছে পুরসভাকে। চুঁচুড়া পুরসভার আয়ের থেকে ব্যয় বেশি জানিয়েছিলেন পুরসভার অর্থ দফতরের আধিকারিকরা। কর্মীদের বেতন দিতে প্রতি মাসে যত টাকা প্রয়োজন সেই টাকা থাকে না পুরসভার হাতে। তাই প্রত্যেক মাসেই বেতনের সময় এলেই সমস্যা তৈরি হয়।যে সমস্যা এখনই মিটবে বলে আশা করছেন না কেউই।

এদিকে বেতন না হলে আগামীকাল থেকে ধর্মঘটে যাবে পাম্প অপারেটররা এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। এই ঘটনা ঘটলে হলে শহরের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চুঁচুড়া পুরসভায় অমিত রায়কে চেয়ারম্যান করেছিল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের গোষ্ঠীর কাউন্সিলরদের থেকে লাগাতার অসহযোগিতা পেয়েছেন চেয়ারম্যান। বোর্ড মিটিংয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলে তা কার্যকর করতে পারেননি। পুরসভা তিনি চালাতে ব্যর্থ এরকম একটা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

আরও পড়ুন: Tab Scam: ট্যাব প্রতারণা কাণ্ডে মালদার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের জালে আরও ১

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal