কলকাতা : “আজ যে নোটিফিকেশনের বার্তা উনি দিলেন, এটা পরিষ্কার সমস্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য একটা মৃত্যুপরোয়ানা উনি ঘোষণা করলেন। আমরা কখনো চাইনি নোটিফিকেশন দিক। কিন্তু, আজ আমরা ওঁর মুখ থেকে নোটিফিকেশনের বার্তা শুনলাম।” সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের হতাশা ব্যক্ত করলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “৩১ মে-র মধ্যেই আমরা সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী নোটিফিকেশন করব। বিজ্ঞপ্তি আমাদের করতে হবে ৩০ মে।”
চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি বলেন, “উনি যে সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টের কথা বললেন…সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টে এত ডিটেল নোটিফিকেশন দেওয়ার কথা বলা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা ছিল, সরকার হয়ত আমাদের পরীক্ষার দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। সেক্ষেত্রে এই ডিটেল নোটিফিকেশন দেওয়া …আমাদের আশঙ্কাটা বরাবরই থেকে যাচ্ছে…সমস্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের রিভিউয়ের মধ্যে দিয়ে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমরা যে গাফিলতিটা দেখছিলাম, সেই আশঙ্কাই মনে হচ্ছে সত্যি হয়ে যাচ্ছে। আমরা কোনওভাবেই চাইনি, নোটিফিকেশন দিক। নোটিফিকেশনের আজকের ডিটেলে বলা হল, অনলাইন আবেদনের তারিখ, পরীক্ষা-ফলাফল-কাউন্সেলিংয়ের তারিখ, এত কিছু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা ছিল না। অর্থাৎ আমরা মনে করি, শুধুমাত্র রায়টাকে অনুসরণ করার জন্য এত ডিটেল বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমাদের কোনও এক জায়গায় মনে হচ্ছে, সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে। যোগ্যদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সেই সদিচ্ছার অভাব আমরা দেখছি। আজ আমরা বলব, নেতাজি ইনডোর স্টে়ডিয়ামে যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা দেখেছিলাম, আজকের মুখ্যমন্ত্রী সেই দিনের থেকে আলাদা। “
নতুন করে পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারা শিক্ষকদের। ৩০ মে হবে বিজ্ঞপ্তিপ্রকাশ। নতুন করে পরীক্ষায় বসার কথা নিজেই ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “৩১ মে-র মধ্যেই আমরা সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী নোটিফিকেশন করব। বিজ্ঞপ্তি আমাদের করতে হবে ৩০ মে। ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এর জন্য শেষ তারিখ ১৪ জুলাই। প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর।”
আরও দেখুন