<p><strong>সোমনাথ মিত্র, হুগলি: </strong>২১ দিন পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হয়েছিলেন BSF জওয়ান। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে গত ১৪ মে দেশে ফেরেন পূর্ণম কুমার সাউ। গত সপ্তাহের রিষড়ার বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। আর এবার তাঁর মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পুজো দিলেন তারকেশ্বর মন্দিরে।&nbsp;</p>
<p>ছেলে বাড়ি ফিরলে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দেবেন বলে মানত করেছিলেন পূর্ণম কুমার সাউয়ের মা। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে সপরিবারে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন পূর্ণম কুমার সাউ।&nbsp;এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ তারকেশ্বর মন্দিরে পৌঁছন BSF জওয়ান। সঙ্গে ছিলেন মা, স্ত্রী, পুত্র এবং আরও কয়েকজন আত্মীয়। পুজোর সামগ্ৰী কিনে বাকিদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন পুজোর দেওয়ার জন্য লাইনে। ঠিক সেই সময় মন্দিরের এক পুরোহিতের দেখতে পান তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ান ও তাঁর পরিবারকে লাইন থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তিনি। বিশেষ ভাবে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতরা।</p>
<p>পরিবার নিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিবের মাথায় জল ঢালেন পূর্ণম। এরপর ধুপ ,বাতি জেলে আরতি করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পাশে কালী মন্দিরে গিয়েও পুজো দেন। এদিন তাঁকে দেখতে মন্দিরে ভিড় জমান বহু মানুষ। এমনকী তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তোলেন অনেকে। তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওঁর মতো সৈনিক, যিনি দেশের হয়ে প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন, আজ তাঁর হয়ে পুজো করতে পেরে আমি গর্বিত হলাম।” পুরোহিত আরও জানান, &nbsp;উনি কাউকেই পরিচয় দেননি। লাইন দাঁড়িয়েছিলে। আমি খবর পেয়ে ওঁকে নিয়ে এসে পুজো করালাম। কারণ, ওঁরাই আমাদের রক্ষা কর্তা। ওঁদের জন্যই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি। ওঁদের জন্য যদি ভালভাবে বাবার কাছে প্রার্থনা না করাতে পারি, তাহলে কার জন্য প্রার্থনা করব! তাই ওঁদের সুস্থতা কামনা করলাম বাবার কাছে। সঙ্গে আরও অনেক পুরোহিত ছিলেন।&nbsp;</p>
<p>পুজো দেওয়ার পর পূর্ণম কুমার সাউ বলেন, "পুজো দিয়ে ভাল লাগছে। মা একটা মানত করেছিলেন ছেলে ফিরলে তারকেশ্বর যাওয়া হবে। তাই আমরা এখানে এসে পুজো দিলাম। সকলে যাতে ভাল থাকে তাই প্রার্থনা করলাম।&nbsp; যাতে সবর্দা দেশের হয়ে কাজ করতে পারি তাও প্রার্থনা জানালাম বাবার কাছে।” তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ বলেন, "আমি মানত করেছিলাম স্বামী ফিরলে এখানে আসব। তাই এসে পুজো দিলাম । খুব ভালো লাগছে। বাবার কৃপা ছিল এবং দেশের সমস্ত জনতা আমাদের পাশে ছিল।”</p>



Source link