রক্তিমা দাস ও অয়ন ঘোষাল: আদালতে কোনও আইনজীবী রাখতে চান না। ওকালতনামায় সই করতে চান না। চার্জশিট হলে আইনের পথে মৃত্যুর রাস্তা-ই বেছে নিতে চান প্রসূন দে। মানে নিজের স্ত্রী-মেয়ে-বউদিকে খুনের দায়ে নিজের ‘ফাঁসি’ চান প্রসূন দে। আদালতে এমনই জানালেন লিগ্যাল এড সার্ভিসের আইনজীবী। এরপরই প্রসূন দে-কে এজলাসে ডেকে পাঠাতে বলেন বিচারক।
বিচারক তাঁর কাছে জানতে চান, আপনি আইনজীবী রাখবেন? প্রসূন দে ঘাড় নেড়ে জানান, “না।” বিচারক বলেন, আপনি বিনা পয়সায় আইনের সহায়তা পাবেন। তাও আপনি রাখবেন না? প্রসূন দে আবারও ঘাড় নেড়ে জানান, “না।” বিচারক এরপর জানতে চান, আপনার কিছু বলার আছে? এবারও প্রসূন দে ঘাড় নেড়ে জানান,”না।” এরপরই ট্যাংরাকাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার আদালতের কাছে আবেদন জানান যে, তদন্তের স্বার্থে প্রসূন দে-কে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাতে হবে।
তখন বিচারক ফের প্রসূন দে-কে জিজ্ঞাসা করেন, পিসি মানে বোঝেন? জেলে পাঠাবে না কিন্তু! পুলিস নিজেদের সঙ্গে আপনাকে রাখবে। আপনি কিছু বলতে চান? এবারও প্রসূন দে ঘাড় নেড়ে বলেন, “না।” শেষমেশ বিচারক ৬ তারিখ পর্যন্ত প্রসূন দে-র পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, আগেই স্ত্রী-বউদিকে খুনের কথা স্বীকার করেছিলেন প্রসূন দে। জানিয়েছিলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে বউ আর বউদির শিরা কেটেছিলেন তিনি।
গতকাল গ্রেফতারির পর রাতভর জেরায় শেষমেশ মেয়েকে খুনের কথাও স্বীকার করেন প্রসূন দে। স্ত্রী রোমিকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে একমাত্র মেয়েকে খুন করেছেন তিনি, হাড়হিম স্বীকারোক্তি দেন প্রসূন দে। জানান, বিষ মেশানো পায়েস খাইয়ে অচেতন করার পর, প্রথমে মেয়ের হাতের শিরা কাটেন। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী রোমি মিলে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে রাখেন। উল্লেখ্য, ট্যাংরাকাণ্ডে নাবালক-ই প্রথম জানায় যে, কাকা প্রসূন-ই খুনি।
আরও পড়ুন, Himani Narwal Murder: ‘ফোন করে বাড়িতে ডেকে সেক্স করতেন, তারপর…’ হিমানী খুনে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি বিবাহিত সচিনের!
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
+ There are no comments
Add yours