কলকাতা: গোটা কলকাতায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া, ট্যাংরার ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে? কীভাবে ঘটানো হয়েছিল গোটা ঘটনা? ট্যাংরাকাণ্ডে ধৃত ছোট ভাই প্রসূন দে-কে তাঁদের সেই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
ট্যাংরার চিত্ত নিবাসে বন্ধ দরজার ওপারে ঠিক কী ঘটেছিল? জানতে ধৃত ছোট ভাই প্রসূন দে-কে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন তদন্তকারীরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে প্রসূন ও প্রণয় দে-র গাড়ি। সেই সময় সঙ্গে ছিল প্রণয়ের নাবালক পুত্রও। সেই পথ দুর্ঘটনার সূত্র ধরেই ২১/C অতুল শূর রোডের এই চারতলা বাড়ি থেকে হাত ও গলা কাটা অবস্থায় দুই বধূ রোমি ও সুদেষ্ণার দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির ছোট মেয়ে প্রিয়ম্বদাও মৃত অবস্থায় পড়েছিল। সূত্রের খবর, বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে যে তিনিই খুন করেছিলেন, তা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আগেই স্বীকার করেন প্রসূন দে। কীভাবে নিজের স্ত্রী, মেয়ে ও বৌদিকে খুন করেছিলেন? তা জানতে বুধবার দুপুরে প্রসূনকে নিয়ে ট্যাংরার বাড়িতে যায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক উইং ও ট্যাংরা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ও মেয়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রসূন। তিনি জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি পরিবারের বড়রা সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁদের যে হাত, গলা কেটে খুন করা হবে, সেটাও জানতেন স্ত্রী ও বৌদি। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রসূন, খবর সূত্রের। ট্য়াংরাকাণ্ডের শুনানিতে মঙ্গলবার প্রসূন দে আদালতে জানিয়ে দেন, তিনি কোনও আইনজীবী রাখতে চান না। চার্জশিট পেশ হলে আইনের হাত ধরেই মৃত্যুর রাস্তা বেছে নিতে চান। প্রসূন দে-কে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় শিয়ালদা আদালত।
আরও পড়ুন: Midnapore College: ‘হাতে বুট দিয়ে লাথি মেরেছে’ এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব SFI নেত্রী
আরও দেখুন