ট্যাংরাকাণ্ডে বড় ভাইকে NRS-এ স্থানান্তর, কী হবে তাঁর সন্তানের পরিণতি?

কলকাতা: ৪ দিন পর বাইপাসের হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হল ট্যাংরার (Tangra News Update) পরিবারের বড় ভাই প্রণয় দে-কে। শনিবার রাতে এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রুবি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার হাসপাতাল থেকে বাকি ২ জনকে ছাড়া হতে পারে।
এক মুহূর্তে ছন্নছাড়া হয়ে গেল গোটা পরিবারটা। চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল একটা সম্ভ্রান্ত,আপাতদৃষ্টিতে সুখী সংসার। বাড়ির ২ বউ ও একমাত্র মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বয়ান অনুযায়ী, আত্মহত্য়া করতে চেয়েছিলেন বাড়ি ৩ পুরুষ সদস্য়ও। মঙ্গলবার, গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার পর থেকেই, রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ট্য়াংরার এই পরিবারের বড় ছেলে প্রণয় দে, তাঁর নাবালক পুত্র ও ছোট ভাই প্রসূন দে।
৪ দিন পর, শনিবার, হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হল প্রণয় দে-কে। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ, এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ভর্তি করা হয় ফ্রেজার বিল্ডিং-এর অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে। কিন্তু এই ডিসচার্জ নিয়ে সকাল থেকেই চলে টানাপোড়েন। চিকিৎসার বিল কে মেটাবে, তা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। সাধারণত, পরিবারের কেউ, কিম্বা প্রতিবেশীর হাতেই ডিসচার্জ করার নিয়ম। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে, প্রথমে বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও আত্মীয়-পরিজন কেউ আসেননি। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে এক আত্মীয় আসেন, রুবি হাসপাতালে ডিসচার্জ প্রক্রিয়ায় তিনিই সই-সাবুদ করেন। এদিকে, NRS মেডিক্য়ালে বেডের ব্য়বস্থা করে পুলিশ। শনিবার সন্ধেয় সেখানেই স্থানান্তরিত করা হয় বড় ভাই প্রণয় দে-কে।
তবে, এখনও রুবি হাসপাতালেই রয়েছেন তাঁর নাবালক ছেলে ও ভাই প্রসূন। সোমবার হাসপাতাল থেকে এই ২ জনকে ছাড়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুটা সুস্থ হলেই গ্রেফতার করা হতে পারে, প্রণয় দে ও প্রসূন দে-কে। কিন্তু প্রণয়ের নাবালক ছেলের কী হবে? সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে পরিবারের কেউ যদি ভরণপোষণের ভার নিতে না চায়, তাহলে, কিশোরকে রাখা হবে সরকারি হোমে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুব শিগগিরই ২ ভাই ও কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ৩ মহিলার খুনি কে? বাড়ির ভিতরে CC ক্যামেরার প্লাগ কেন খুলেছিল? শুধুমাত্র আর্থিক বিপর্যয়ের কারণেই এত বড় সিদ্ধান্ত? শুক্রবার, ট্যাংরার অটল শূর রোডে প্রণয় ও প্রসূন দে-র বাড়িতে যায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের বেশ কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল, তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: Fake Medicine Controversy: জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে কোথায়? এবার তাঁর খোঁজে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল
আরও দেখুন