কোয়েম্বাটোর: ভয়ঙ্কর ঘটনা তামিলনাড়ুতে ! ঘরের সামনে থেকে মাত্র ৪ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গেল চিতা। চিতার হানায় আতঙ্ক (Tamil Nadu News) চরমে এলাকাবাসীদের মধ্যে। বুধবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর (Leopard) জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তরফে তদন্ত চলছে চরমে, তবে এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি সেই শিশুটির।
সেই শিশুটির নাম জানা গিয়েছে রোশনি। পাহাড়ঘেরা গ্রাম ভলাপাড়াইতে থাকে এই শিশুটি। জানা যাচ্ছে ঘটনার সময়ে সে তাঁর বাড়ির সামনে খেলছিল। আর তখনই চিতাটি আক্রমণ করে এবং সেই শিশুটিকে তুলে নিয়ে চলে যায় সামনের (Tamil Nadu News) জঙ্গলের গভীরে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন যে চিতাটি জঙ্গলের গভীরে চলে গিয়েছে। বন আধিকারিক এবং পুলিশ কর্মীরা একযোগে এই ঘটনার পর থেকেই সারারাত অনুসন্ধান কার্য চালিয়েছেন।
তাদের ক্যামেরায় তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সার্চলাইট, ড্রোন, স্নিফার কুকুর নিয়ে আধিকারিকদের দলগুলি ঘন পাহাড়ি অঞ্চলে তল্লাশি চালাচ্ছে। একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বন কর্মকর্তা ও পুলিশ যৌথভাবে এলাকাটি তল্লাশি চালাচ্ছে। এই চিতার হানার কারণে স্বাভাবিকভাবে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় চরমে ওঠে।
তামিলনাড়ুর সমতল ও পার্বত্য জেলাগুলির (Tamil Nadu News) বনাঞ্চল ক্রমশই মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে, বিশেষত চিতাবাঘ ও হাতির আক্রমণ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এই অঞ্চলগুলিতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে সকলের। তামিলনাড়ুর বনবিভাগ সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে বন্যপ্রাণীর গতিবিধি শনাক্ত করতে এবং বাসিন্দাদের রিয়েল টাইমে সতর্ক করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক ক্যামেরা সতর্কতা ব্যবস্থা স্থাপন করছে।
শিশুটিকে খুঁজে বের করতে এবং নিরাপদে চিতাবাঘটিকে খুঁজে বের করার জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার পাশপাশি শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। বাসিন্দাদের সন্ধ্যার পরে ঘরের ভিতরে থাকতে ও শিশুদের কড়া তত্ত্বাবধানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর এক মাস আগেই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে একটি চিতাবাঘ জনবসতিতে ঢুকে পড়েছিল সীমানা পেরিয়ে। আর সেই ঘটনার ভিডিয়ো ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরায়। হরিদ্বারের রাস্তায় একটি ঘুমন্ত কুকুরকে কামড়ে ধরেছিল সেই চিতাবাঘটি। কুকুরের ঘাড় কামড়ে ধরে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। কুকুরটি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও এই হিংস্র প্রাণীর সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে ওঠেনি সে। তবু চিতাবাঘটিকে সে আঁচড়ে-কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল।