NOW READING:
সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি চাকরিহারাদের, নতুন নিয়োগে বাড়ল সময়সীমা
April 17, 2025

সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি চাকরিহারাদের, নতুন নিয়োগে বাড়ল সময়সীমা

সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি চাকরিহারাদের, নতুন নিয়োগে বাড়ল সময়সীমা
Listen to this article


কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি চাকরিহারাদের। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়ল সময়সীমা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দায়ের করা মামলা পিছোল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রশাসনিক সমস্যার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। যারা নির্দিষ্ট অযোগ্য বলে চিহ্নিত নয়, তাদের চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কাজ চালানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ৩১ জিসেম্বর পর্যন্ত Non-Tainted-রা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবেন না তাঁরা। (SSC Case)

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৩ এপ্রিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়ে যায়। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আদালত জানায়, Tainted, Non-Tainted পৃথকীকরণ করবে SSC. সেই তালিকা প্রকাশিত হলে, Non-Tainted-রা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এর পর ৭ এপ্রিল আদালতে আবেদন করে পর্ষদ। নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত, চলতি শিক্ষাবর্ষে, যাঁরা Tainted নন, সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়ায় অনুমতি চাওয়া হয়। বড় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গেলে শিক্ষাব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়বে, অন্তত Non-Tainted-দের কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া হোক বলে জানানো হয়। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্যও অনুমতি চাওয়া হয়, কিন্তু আদালত রাজি হয়নি তাতে। (Supreme Court)

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে শুনানি শুরু হলে, SSC, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, রাজ্য সরকার অনুরোধ করে যে, আদালতের নির্দেশ তারা মানছে। কিন্তু তিন মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়, তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর করা হোক। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ হয়ে যাবে। এর পর পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানায়,

১) যাঁরা Tainted নন, নবম-দশম-একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াতে পারবেন সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পড়াতে পারবেন তাঁরা। তবে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

২) গ্রুপ সি এবং ডি-তে যাঁরা ছিলেন, Tainted হোন বা Non-Tainted, তাঁদের আর চাকরিতে যোগ দেওয়ানো যাবে না। কারণ আরও এক্ষেত্রে বড় মাপের দুর্নীতি হয়েছিল। 

৩) চলতি বছরের ৩১ মে-র আগে রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে, যার প্রতিলিপি হলফনামা-সহ জমা দিতে হবে আদালতে। জানাতে হবে, নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কখন পরীক্ষা, কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা, অ্যাডমিট কার্ড কবে, সব জানাতে হবে। মোট চারটি বিজ্ঞাপন দিতে হবে, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপন। এই আলাদা বিজ্ঞাপন, নিয়ম-নীতি চলু করতেও বাড়তি সময় চায় রাজ্য, SSC.

৪) সময় দেওয়ার পক্ষে হলেও, নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরির কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে সেকথা লেখেন CJI. 

কারা Tainted, কারা Non-Tainted, রাজ্য সরকার বা SSC আজও সেই পৃথকীকরণ করেনি বলেও আজ আদালতে আজ বিষয়টি তোলা হয়। যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করে প্রকাশ্যে তালিকা আনা হচ্ছে না কেন, কেন অযোগ্যদের পরিবর্তে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যবহার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেনি।

আরও দেখুন



Source link