কলকাতা: আজ বজবজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বজবজে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়েই রাজভবনে যান সুকান্ত মজুমদার। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন, ‘মুহূর্মুহূ মিসাইল,চারিদিকে গুলি-বোমার আওয়াজ..’, ইরানে আটকে দেগঙ্গার ৫ পরিবারের ১১ জন ! ‘ওরা অসুস্থ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন..’
বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় রাজ্যপালকে পুরো বিষয়টিকে জানাতে, এবং আমাদের প্রতিবেদন তাঁকে দিয়েছি, যে পরিস্থিতির সম্মুখীন আজকে আমাকে হতে হল, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে, আমার প্রোগাম আগে থেকে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে জানানোর পর, যদি এই ঘটনা হয়, তাহলে সাধারণ একজন মানুষের ভোটাধিকার সেই বিধানসভা বা লোকসভা ক্ষেত্রে রক্ষিত হতে পারে ? তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে , ১০০ দিনের কাজের জন্য নাকি, মানুষ প্রতিবাদ করেছে। আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে। ভিডিও আছে। ছবি আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যারা পরিচিত নেতা, তাঁদেরকে দিয়ে আজকে, যেভাবে আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, আমাদের মণ্ডল সভাপতি এবং একজন মহিলা কার্যকর্তা, তাঁদের জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মণ্ডল সভাপতির ফোন লুঠ করা হয়েছে। এতটাই ভিখারি এরা ! এবং তার সঙ্গে সঙ্গে যে অশ্রাব্য গালিগালাজ, আজকে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা করা হল ফ্ল্যাগ ছাড়া, বাংলার জনতা আগামী দিনে এর উত্তর দেবে।’
তিনি আরও বলেন,’ রাজ্যপাল পর্যন্ত আজকে শুনে আশ্চর্য হয়েছেন। এবং তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ভারতবর্ষের কোনও রাজ্যে, এই ধরণের ঘটনা ঘটে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ। আজকে তাঁরা যে ব্যবহা করেছে, বা আমার মা-বাবাকে যে গালি দিয়েছেন, বিশেষকরে আমার মাকে, আমার মা একজন শিক্ষিকা, পার্টি করে খান না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মতো, এবং তিনি যে স্কুল থেকে চাকরি করেছেন জীবনের সিংহভাগটা, সেইসময় জ্ঞানী জয়ন্ত সিংহের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত হেড মাস্টার মশাইয়ের স্কুলে চাকরি করা একজন শিক্ষিকা। তৃণমূল কংগ্রেসকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। মাননীয় রাজ্যপাল বলেছেন যে এই বিষয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট পাঠাবেন।’
উল্লেখ্য, বজবজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ‘চোর’ স্লোগানও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, সুকান্ত লক্ষ্য করে জুতো। এদিন বজবজে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। এপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।