নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই নিয়ে সকাল থেকে একযোগে ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. সেই আবহেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে CBI হানার দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেহেতু মমতা, তাই তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন। (Sukanta Majumdar)

একদিন আগেই আর জি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তভার হাতে পেয়েছে CBI. এর পর রবিবার সাতসকালে প্রথমে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হাজির হয় তারা। এর পর একে একে, আরও আধিকারিকদের বাড়ি, হাসপাতালে CBI তল্লাশির খবর মেলে। দুর্নীতির প্রশ্নে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। (Mamata Banerjee)

আর এই আবহেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর হয়ে গিয়েছে, ঘুম ধরে গিয়েছে। শুধু আর জি কর নয়, রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও দুর্নীতি চলছে। দুষ্ট চক্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালাচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী চিকিৎসকও এর সঙ্গে যুক্ত। আর জি করের মহিলা চিকিৎসক আগেই দেবাশিস সোমের নাম নিয়েছিলেন। সম্প্রতি যে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়, তাঁর মৃতদেহ নিয়ে বৈঠকেও দেবাশিস উপস্থিত ছিলেন বলে জািয়েছেন। এই দেবাশিস আসলে সন্দীপের উপদেষ্টা। সবাই মিলে ডুববে, চিন্তা নেই।”

সকাল থেকে CBI তল্লাশি নিয়ে সুকান্ত বলেন, “আমরা, বাংলার মানুষ দেখতে চাই, কবে CBI বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে এভাবে তল্লাশি চালাবে। ওঁর বাড়িতেও CBI যাক, বাজেয়াপ্ত করা হোক ওঁর ফোন। স্বাস্থ্যসচিব স্বরূপ নিগম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, দুই মাথা, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমারের ফোন নিয়েও তদন্ত হোক। এঁরা নাটের গুরু। উপর থেকে বুদ্ধিদাতার কাজ করেন।”

আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও গলদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য, “IMA-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কথা শুনছিলাম টিভিতে। উনি জানালেন, কোনও আনাড়িকে দিয়ে হয় রিপোর্ট তৈরি করানো হয়েছে। এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে অস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। অর্থাৎ পরিকল্পনা করে, কাপও বুদ্ধিতে এটা হয়েছে। কার বুদ্ধি জানতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যসচিব নিগম, বিনীত গোয়েল অ্যান্ড কোম্পানির ফোনের তদন্ত হওয়া উচিত।”

তবে সুকান্ত রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুললেও, CBI তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সুকান্তের দাবি, যে মামলার ভার সরাসরি CBI-এর হাতে গিয়েছে, আর যেগুলি পুলিশের হাত ঘুরে গিয়েছে, দু’টোর ক্ষেত্রে রেজাল্ট আলাদা। রাজ্য পুলিশের একটি শাখা তথ্যপ্ররাণ লোপাটে ওস্তাদ এবং বিনীত গোয়েল তার মাথায় রয়েছেন ও রাজীব কুমার বিষয়টি সুপারভাইজ করেন বলেও দাবি করেন সুকান্ত। তাই CBI কেন আমেরিকার FBI-এর পক্ষেও এমন ক্ষেত্রে আসল সত্য বের করা মুশকিল বলে দাবি তাঁর। যদিও CBI সক্রিয়তা নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, “যাতায়াত, দৌড়াদৌড়ি অনেক দেখেছি। তৃণমূলও ন্যায়বিচার চায়।” 

আরও দেখুন



Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *