Share Market Today: সোমের গতি দেখা গেল না মঙ্গলে। উল্টে ৪ শতাংশ লাফের পর এদিন পতনের সাক্ষী হয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার (Indian Stock Market)। তবে এই পতনের পিছনে ছিল এই পাঁচ কারণ। জেনে নিন, কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হল বাজারে (Stock Market Today)। 

আজ কী হয়েছে বাজারে
বিশ্বব্যাপী মিশ্র ইঙ্গিতের মধ্যে ভারতীয় শেয়ার বাজারের বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স ও নিফটি ৫০ মঙ্গলবার, ১৩ মে, ১ শতাংশেরও বেশি পতনের মুখোমুখি হয়েছে। সেনসেক্স ১,৩৮৬ পয়েন্ট বা ১.৭ শতাংশ কমে দিনের সর্বনিম্ন ৮১,০৪৩.৬৯ এ দাঁড়িয়েছে। যেখানে নিফটি ৫০ ৩৭৭ পয়েন্ট বা ১.৫ শতাংশ কমে দিনের সর্বনিম্ন ২৪,৫৪৭.৫০ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে।

সেনসেক্স অবশেষে ১,২৮২ পয়েন্ট বা ১.৫৫ শতাংশ কমে ৮১,১৪৮.২২ এ বন্ধ হয়েছে। যেখানে নিফটি ৫০ ৩৪৬ পয়েন্ট বা ১.৩৯ শতাংশ কমে ২৪,৫৭৮.৩৫ এ স্থির হয়েছে।

কী হয়েছে মি়ড ও স্মল ক্যাপে
তবে, মিড ও স্মল-ক্যাপ বিভাগগুলি তাদের পারফর্মেন্সের চেয়ে ভালো করেছে। বিএসই মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ সূচক যথাক্রমে ০.১৭ শতাংশ এবং ০.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসইতে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির সামগ্রিক বাজার মূলধন আগের অধিবেশনে ₹৪৩২.৫৬ লক্ষ কোটি থেকে প্রায় ₹৪৩১ লক্ষ কোটিতে নেমে এসেছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীরা এক অধিবেশনে প্রায় ₹১.৫ লক্ষ কোটি দরিদ্র হয়ে পড়েছেন।

আজ কেন ভারতীয় শেয়ার বাজারের পতন?
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে আজ ভারতীয় শেয়ার বাজারের পতনের পিছনে নিম্নলিখিত পাঁচটি কারণ থাকতে পারে:

১. আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক সমস্যা
পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক আরোপের কারণে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান আলোচনা অব্যাহত থাকলেও বাণিজ্য যুদ্ধের উদ্বেগ এখনও রয়ে গেছে।

২. ৪% বৃদ্ধির পর প্রফিট বুকিং বাজারে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমে যাওয়ার পর আগের ট্রেডিং সেশনে ভারতীয় শেয়ার বাজারের মানদণ্ড প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। এই তীব্র উত্থান মূলত শর্ট কভারিংয়ের কারণে হয়েছিল। যার ফলে খুচরো বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বুকিংয়ে উৎসাহিত করা হয়েছিল।

৩. মার্কিন-চিন বাণিজ্য চুক্তি
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন-চিন বাণিজ্য চুক্তি ভারতীয় শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এটি ‘ভারত বিক্রি করো, চিন কেনো’ স্লোগানকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এর ফলে নতুন করে ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি মূলধন বেরিয়ে যেতে পারে।  

৪. ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চাপ অব্যাহত রেখেছে বাজারে
কিছু বিশেষজ্ঞ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে ভয় অব্যাহত থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার ও পাকিস্তানকে দুর্ভাগ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও কিছু প্রতিশোধ নেওয়া হতে পারে।

৫. বাজারে নতুন অনুঘটকের অভাব রয়েছে
ভারত-পাকিস্তান ফ্রন্টে অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকায়, দেশীয় বাজারে বর্তমানে তার ঊর্ধ্বমুখী গতি বজায় রাখার জন্য নতুন ইতিবাচক ট্রিগারের অভাব রয়েছে।দেশের সুস্থ অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং Q1FY26-তে প্রত্যাশিত আয় পুনরুজ্জীবনের সঙ্গে, খুচরো বিনিয়োগকারীরা উচ্চতর রিটার্নের সন্ধানে লার্জ ক্যাপ, মিড ক্যাপ ও স্মল ক্যাপ স্টকগুলিতে তহবিল ঘুরিয়ে চলেছেন। 

( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)

আরও দেখুন