NOW READING:
ভারতে চালু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা ! ইন্টারনেটের স্পিড কত পাবেন ? কত খরচ হতে পারে ?
June 10, 2025

ভারতে চালু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা ! ইন্টারনেটের স্পিড কত পাবেন ? কত খরচ হতে পারে ?

ভারতে চালু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা ! ইন্টারনেটের স্পিড কত পাবেন ? কত খরচ হতে পারে ?
Listen to this article


Starlink’s India Entry Plan: এলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিঙ্ক খুব শীঘ্রই ভারতেও তাদের পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে স্টারলিঙ্ক প্রয়োজনীয় অপারেটিং লাইসেন্স (Starlink) পাওয়ার পরে এই খবর জানা গিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদন অনুসারে সংস্থাটি ভারতীয় বাজারের জন্য তৈরি মূল্য কাঠামো বা প্রাইস চার্ট স্থির করেছে।

ভারতে গ্রাহকদের এই স্টারলিঙ্কের সংযোগের জন্য দরকার একটি হার্ডওয়্যার উপাদান – স্যাটেলাইট ডিশ যার দাম প্রায় ৩৩০০০ টাকা। আর এর সঙ্গে মাসে মাসে আনলিমিটেড ডেটা প্ল্যানের সুবিধে পেতে হলে খরচ হতে পারে ৩ হাজার টাকা। এই স্টারলিঙ্ক (Starlink) লঞ্চ কৌশলের অংশ হিসেবে প্রতিটি ডিভাইস কেনার সঙ্গে এক মাসের বিনামূল্যে ট্রায়াল অফার করা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা নিয়মিত সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার আগে পরিষেবাটি নিজে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

ভারতে স্টারলিঙ্কের প্রবেশ (Starlink) গ্রামীণ সংযোগের ক্ষেত্রে অর্থবহ পরিবর্তন আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, সুবিধে-বঞ্চিত অঞ্চলগুলিতে নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে ট্রাডিশনাল ব্রডব্যান্ড পরিকাঠামোর অসুবিধে রয়েছে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে সহায়তা করবে এই স্টারলিঙ্ক।

এই সংস্থার লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইটের লক্ষ্য হল যেখানে যেখানে আগে টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে পারেনি, সেখানে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এনে দেবে এই স্টারলিঙ্ক।

ভারতে স্টারলিঙ্কের সরঞ্জামের দাম অন্যান্য প্রতিবেশি দেশের মতই। বাংলাদেশ এবং ভূটান উভয় দেশেই একই রকম ডিভাইস রয়েছে যার দাম ৩৩ হাজার টাকা। শিল্প-বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, স্টারলিঙ্কের আগমন হলে দেশের টেলি-যোগাযোগ খাতে প্রতিযোগিতার সূত্রপাত করতে পারে যা গ্রামীণ এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সমাধান প্রদান করে।

এলন মাস্কের এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংস্থা স্টারলিঙ্ককে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন পরিষেবার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। এছাড়াও ভি-স্যাট পরিষেবা এবং আইএসপি ক্যাটাগরি-এ’র অধীনে ইউনিফায়েড লাইসেন্স দিয়েছিল সরকার। এই নিয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে ওয়ান ওয়েব ও রিলায়েন্স জিওর পরে তৃতীয় সংস্থা স্টারলিঙ্ক যে জিএমপিসিএস নিয়ে লাইসেন্স পেয়েছে। ভারত এই সময়ে বৃহত্তর ডিজিটাল ইনক্লুশন ও পরিকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য জোর দিচ্ছে, সেই সময়েই ভারতে স্টারলিঙ্ক সংস্থার কাজ শুরু হতে চলেছে।  



Source link