<p>ABP Ananda: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের SSC-র ২৫ হাজার ৭৫২ চাকরি বাতিল হয়ে গেছে। যারা যোগ্য, নতুন করে তাঁরা নিয়োগের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু কবে শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া? কবেই বা শেষ করতে হবে? তা স্পষ্ট নয় খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছেই। সব মিলিয়ে আতান্তরে চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীরা। SSC-র চাকরি বাতিল নিয়ে আলোচনায় বারবার ফিরে আসছে, অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরি নিয়ে রাজ্য় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ। মন্ত্রিসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল থাকবে কিনা, তা নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হবে। বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসেই অতিরিক্ত শূন্য়পদ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার কথা উঠে এসেছিল। আর সেটা খোদ শিক্ষাসচিবের মুখে। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর, আদালতে উপস্থিত শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল? উত্তরে শিক্ষাসচিব জানিয়েছিলেন, উপযুক্ত স্তর থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্রাত্য বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন। গতবছর ২২শে এপ্রিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ এ নিয়ে একেবারে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। অতিরিক্ত শূন্য়পদে নিয়োগ নিয়ে CBI তদন্তের উদ্দেশ্য়, এটা সামনে আনা যে, এক্ষেত্রে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে এবং কারা কারা তাতে জড়িত। এটা চমকে দেওয়ার মতো যে, জালিয়াতি করে পাওয়া চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভার মতো জায়গায়। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের সুযোগ করে দিতে, অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন রাজ্য় সরকারের কোন ব্য়ক্তিরা, তা নিয়ে CBI আরও তদন্ত চালাবে। প্রয়োজন পড়লে CBI তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে।</p>
Source link
‘এটা কোন ধরণের বিচার হল?’ এসএসসি মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য কুণালের
