কলকাতা : ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কেন রাজনৈতিকভাবে আইসোলেট করা হবে না ?’ এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে চাকরিহারা যোগ্যদের পাশাপাশি অযোগ্যদেরও আশ্বাস দেন তিনি। এনিয়ে এবার পাল্টা জবাব দিলেন সিপিএম সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর খোঁচা, “কলকাতা হাইকোর্টে এতদিন মামলা হল একটা কথা বললেন না। সুপ্রিম কোর্টে এতদিন মামলা হল, কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছেন। সেখানে বললেন না। এখন রায় হয়ে যাওয়ার পর উনি লম্ফঝম্প করছেন।”
এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আমাদের জানাতে পারেনি, কারা যোগ্য, আর কারা অযোগ্য ? ২০২২ থেকে খেলা শুরু করেছিল। একটা নোংরা খেলা। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, চাকরি কাড়ার যাদের ক্ষমতা আছে তাদের আমি ধিক্কার জানাই। আপনাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, কোনটা মুখ, আর কোনটা মুখোশ। কারা যাত্রাপালার মাধ্যমে আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে। আমি আমার জীবনে জেনেশুনে কোনও শাস্তি কাউকে দিইনি। মনে রাখবেন, জেনেশুনে কারো চাকরি খাইনি। তাই, অনেক বদহজম হওয়া সত্ত্বেও, আমি সিপিএমের একটারও চাকরি খাইনি। যারা ৩৪ বছর অনেক অন্যায় করে গেছে। কারণ, আমি বলেছিলাম, বদল চাই, বদলা নয়। কিন্তু, তার মানে এই নয়..তুমি গিয়ে কেন আবেদন করলে ? প্রথম প্রশ্ন আমার, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কেন রাজনৈতিকভাবে আইসোলেট করা হবে না ? সিপিএমকে উত্তর দিতে হবে, কেন উনি সব তালিকা খারিজ করছেন ? আজ বাইরে আমার নামে বড় বড় কথা বলছো ? আমি তো করিনি। আমি তো চাকরিগুলো দিয়েছিলাম।”
তাঁকে রাজনৈতিকভাবে আইসোলেট করার আহ্বান প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ঠিকই বলেছেন উনি। উনি তো দুর্নীতির পক্ষে। আমি দুর্নীতির বিপক্ষে। সুতরাং, রাজনৈতিকভাবে আইসোলেট করা মানে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে উনি ডাক দিচ্ছেন যে, আপনারা ঠিক করুন যে আপনারা দুর্নীতির পক্ষে থাকবেন, না দুর্নীতির বিপক্ষে থাকবেন ? আমার ধারণা, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দুর্নীতির বিপক্ষেই থাকবেন। সেটা উনি বলে ফেলেছেন। উনি অনেক কথা বলেন। না বুঝে বলেন তো । গুরুত্ব বোঝেন না। যেভাবে চিৎকার করে কথা বলছিলেন, পাড়ার পাগলরা যেভাবে মাঝেমধ্যে চিৎকার করে সেভাবে বলছিলেন। পুরো উন্মাদ।”
তাঁর সংযোজন, “তিনি দুর্নীতি করেছেন। এখন দুর্নীতির টাকায় তাঁর দল সমৃদ্ধ হয়েছে। এখন তিনি মারের হাত থেকে বাঁচবার জন্য এ সমস্ত কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। উনি কিন্তু, একবারও বলেননি যে আমি দুর্নীতি করিনি। একটা শব্দও বলেননি যে, আমি দুর্নীতি করিনি। বারবার বলছেন, যোগ্য-অযোগ্য। কে নির্ণয় করবে? কলকাতা হাইকোর্টে এতদিন মামলা হল একটা কথা বললেন না। সুপ্রিম কোর্টে এতদিন মামলা হল, কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছেন। সেখানে বললেন না। এখন রায় হয়ে যাওয়ার পর উনি লম্ফঝম্প করছেন।”
আরও দেখুন