কলকাতা: যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি গেল কেন ? তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। আজ প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি চাকরিহারাদের সঙ্গে নিয়ে, এসএসসি দফতরে যান। কথা বলেন। এবং সেখানেই, সমাধান দেন। কীভাবে যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব ? তিনি বলেন, তাড়াতাড়ি একটি কমিটি গঠন করুন। সরকারের কাছেই সব তালিকা আছে। প্রকাশ করুন। দম্ভ ছাড়ুন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মানুন। চাকরিহারাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচির।
আরও পড়ুন, চাকরিহারাদের পাশে আইনি সাহায্য়ের আশ্বাস শুভেন্দুর, ‘চাঁদা তুলে আইনজীবীর টাকা দেব আমরা..’
এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মানুষের ভাতের থালা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এই রাজ্য সরকারের জন্য। বাচ্চার থালা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এই রাজ্য সরকারের জন্য। বাচ্চার বেবিফুড সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এই রাজ্য সরকারের জন্য, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। তাঁকে বলেছিলাম, আপনি একটু রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে একটু কাজ করুন। আরও বড় আন্দোলন সারা বাংলা জুড়ে শুরু হবে। উনি কী ভেবেছেন ?! উনি কালকে বলছেন কী, কেন মামলা করলেন ? আপনি কেন চুরি করলেন’ এরপরেই পাল্টা প্রশ্ন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।অভিজিৎ এর সংযোজন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন আপনারা। আপনি আজকে বিজেপি, সুপ্রিম কোর্টের দিকে আঙুল তুলছেন। যেখানে অন্য কোনও খেলা নেইতো ? আরে খেলা আপনি খেলেন !
সাংবাদিক: Segregation বা বাছাই, সেটা কেন SSC দ্বারা সম্ভব হল না ?
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় : অবশ্যই সম্ভব। সম্ভব হল না, কারণ সেটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এবং আমার ধারণা, মুখ্যমন্ত্রীর আদেশেই এটা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে জানাতে পারেনি কারা যোগ্য, আর কারা অযোগ্য। নেতাজি ইন্ডোর থেকে আজ এভাবেই যোগ্য়-অযোগ্য় বাছাইয়ের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের দিকে ঠেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে চাকরিহারাদের একটা বড় অংশই। বিজেপিও বলছে, সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য় তালিকা দিয়ে দিলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বারবার একটাই প্রশ্ন উঠছে, কেন স্কুল সারভিস কমিশন এত বছরেও নির্দিষ্ট তথ্য় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে সন্তুষ্ট করতে পারল না যে যোগ্য় কারা আর অযোগ্য় কারা? এই আবহেই নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে যোগ্য়-অযোগ্য় বাছাইয়ের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের দিকে ঠেলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
পাল্টা বিরোধীদের দাবি, নিজেদের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্য়র্থ হওয়াতেই এখন এই তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করছেন মুখ্য়মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’সিবিআইকে কেসটা দেওয়া হয়। আমরা সিবিআইকে নন-কোঅপারেশন করিনি। আমরা বলেছিলাম বাছুন কে যোগ্য আর কে অযোগ্য। যদি কেউ অযোগ্য হয়, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণিত করতে পারেন, নিশ্চয়ই সরকার মানে SSC সেটা মেনে নেবে। একটু কোর্টের ভাষায় বলি, সুপ্রিম কোর্ট বলেনি কে যোগ্য আর কে অযোগ্য। তালিকা দেয়নি। সরকারকে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার সুযোগ আদালত দেয়নি। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের অনুমতিও দেয়নি।’
আরও দেখুন