কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠকের পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন এবিপি আনন্দ-র একান্ত সাক্ষাৎকারে তোপ দাগলেন তিনি।
এবিপি আনন্দ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার নাম করে, নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কি রাজনৈতিকভাবে আইসোলেটেড করা উচিত নয় ?
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য: ঠিকই বলেছেন উনি। উনি তো দুর্নীতির পক্ষে। আমি দুর্নীতির বিপক্ষে। রাজনৈতিকভাবে আইসোলেট করা মানে, উনিই পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ডাক দিচ্ছেন, যে আপনারা দুর্নীতির পক্ষে থাকবেন নাকি বিপক্ষে থাকবেন ? উনি অনেক কথা বলেন, সেটার গুরুত্ব বোঝেন না। আর যেভাবে চিৎকার করে কথা বলছিলেন, পাড়ার পাগলরা এভাবে চিৎকার করে কথা বলে। উনি তাই করেছেন। পুরো উন্মাদ।
এবিপি আনন্দ: বিকাশরঞ্জন বাবু, বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে যোগ্যদের ভরসা দিচ্ছেন, পাশাপাশি ‘অযোগ্য’ কীসের ভিত্তিতে বলা হয়েছে ? জানতে চেয়েছেন…
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য: কারণ তিনি দুর্নীতি করেছেন, তাঁর দল দুর্নীতির টাকায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সবাই তো পেটাবে। এখন তিনি সেই মারের হাত থেকে বাঁচবার জন্য,এই সমস্ত কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তিনি কিন্তু একবারও বলেননি , আমি দুর্নীতি করিনি। তিনি বারবার বলছেন, যোগ্য ও অযোগ্য…কে নির্ণয় করবে, কলকাতা হাইকোর্টে এতদিন মামলা হল, একটা কথা বললেন না, সুপ্রিম কোর্টে এতদিন মামলা হল, একটা কথা বললেন না, এখন রায় হয়ে যাওয়ার পর, তিনি লম্ফ ঝম্ফ করছেন।
মূলত এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কদিন ধরে আমাকে প্রচণ্ডভাবে, যে মানুষটা জানে না কী হয়েছে, যে মানুষটা কোনও ব্যাপারে, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমি আমার জীবনে জেনেশুনে কোনও পানিশমেন্ট কাউকে দিইনি। মনে রাখবেন জেনেশুনে কারও চাকরি খাইনি। অনেক বদহজম হওয়া সত্ত্বেও আমি সিপিএমের একটারও চাকরি খাইনি। যারা ৩৪ বছর অনেক অন্যায় করে গেছে। কারণ আমি বলেছিলাম বদল চাই বদলা নয়। কিন্তু তার মানে এই নয়, তুমি গিয়ে কেন অ্যাপ্লাই করলে? প্রথম প্রশ্ন আমার। বিকাশ ভট্টাচার্যকে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করা হবে কিনা, এটা আমার প্রশ্ন। সিপিএমকে উত্তর দিতে হবে কেন তিনি (বিকাশ ভট্টাচার্য) সব তালিকা বাতিল করে দিলেন? আজকে বাইরে আমার নামে বড় বড় কথা বলছ। আমি তো করিনি। আমি তো চাকরিগুলো দিয়েছিলাম। আমার সরকার দিয়েছিল। একটা দুটো কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। সেই ভুল সংশোধন করে নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে সময় দাও। তা তো তোমরা দাওনি।’
আরও দেখুন