# Tags
#Blog

যোগ্য -অযোগ্য আলাদা করা না গেলে পুরোটাই বাতিল: সুপ্রিম কোর্ট

যোগ্য -অযোগ্য আলাদা করা না গেলে পুরোটাই বাতিল: সুপ্রিম কোর্ট
Listen to this article


নয়াদিল্লি: আরও বাড়ল মেধার ভিত্তিতে চাকরি প্রাপকদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলল, যদি যোগ্য়-অযোগ্য় পৃথক করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই করা উচিত। নাহলে পুরো প্য়ানেলটাই বাতিল করতে হবে। কিন্তু, যাঁরা যোগ্য়তার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কেন এই বিড়ম্বনা ভোগ করতে হচ্ছে? উঠছে সেই প্রশ্নটাই। 

দুর্নীতি করে কাদের চাকরি, আর কাদের চাকরি স্বচ্ছভাবে, সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্য়-অযোগ্য় পৃথক করা সম্ভব হলে, সেটাই করা উচিত। নয়তো পুরো প্য়ানেল বাতিল করতে হবে। SSC-র চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে বুধবার এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য় করলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। যার ফলে মেধার ভিত্তিতে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বাড়ল!

গ্রুপ D এবং নবম-দশমের শিক্ষকদের হয়ে বুধবার সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের রায়ে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্য়ে যাঁরা নির্দোষ, তাঁরা তো সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তখন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, আমরা এটা বলে আসছি যে, যদি যোগ্য়-অযোগ্য় পৃথক করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই করা উচিত। কিন্তু, যদি আলাদা করা সম্ভব না হয়, তাহলে পুরোটাই (প্য়ানেল) উড়িয়ে দেওয়া হবে।

চলতি বছর ৮ই জানুয়ারি CBI যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছিল, এবং তাতে নীলাদ্রি দাসের যে ভূমিকা, তা উদ্ধৃত করেন আইনজীবী। তখন আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা কোনও নির্দিষ্ট অংশ নেব না। পুরোটাই নেব। OMR-এর স্ক্য়ান কপিগুলো থেকে আরও কিছু তথ্য় পাওয়া গেছে। দুটো প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ। এক, কারা অসদুপায় অবলম্বন করে চাকরি পেয়েছে, আর কারা পায়নি। মূল প্রশ্ন হচ্ছে, যারা যোগ্য়তার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কেন এই বিড়ম্বনা ভোগ করতে হচ্ছে? SSC কেন দুধ ও জল আলাদা করতে পারছে না? রাজ্য় সরকারকে ভরসা করতে না পারলে, কার ওপর ভরসা রাখবে সাধারণ মানুষ?

বুধবার আদালতে, গ্রুপ C-র চাকরিজীবী, যারা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের আইনজীবী বলেন, “সংশ্লিষ্ট মামলায় কোনও গুরুতর তদন্ত হয়নি। তবুও তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। আইনজীবীর আর্জি, তদন্ত করে দেখা হোক, গোটা বিষয়টা অস্বচ্ছ, নাকি নয়। তিনি আরও বলেন, কারও কারও বেনিয়মের জন্য় সবাই কেন ভুগবে? যানা অনিয়ম করেছে, তাদের অবশ্য়ই যাওয়া উচিত। যারা পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকেছে, তাদের পিছনের দরজা দিয়েই বেরিয়ে যেতে হবে। তখন এক আইনজীবীর উদ্দেশ্য়ে প্রধান বিচারপতি খান্না বলেন, “আপনার বক্তব্য মেনে নিচ্ছি, কে যোগ্য় এবং কে যোগ্য় নয়, তা আলাদা করা সম্ভব।”

আরও পড়ুন: Baghajatin Building Collapse: ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফাচ্ছে কেন,’ বহুতল বিপর্যয়ে সুকান্তকে তোপ ফিরহাদের

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal