NOW READING:
চাকরি হারিয়ে মাথায় হাত, বাঁশবেড়িয়ার স্কুলে গরহাজির ১৫ জন শিক্ষক
April 4, 2025

চাকরি হারিয়ে মাথায় হাত, বাঁশবেড়িয়ার স্কুলে গরহাজির ১৫ জন শিক্ষক

চাকরি হারিয়ে মাথায় হাত, বাঁশবেড়িয়ার স্কুলে গরহাজির ১৫ জন শিক্ষক
Listen to this article



<p><strong>সোমনাথ মিত্র, হুগলি:</strong> আদালতের রায়ের পরের দিনেই স্কুলে অনুপস্থিত ১৫জন চাকরিহারা শিক্ষক। ফলে স্কুল পরিচালনা নিয়ে সমস্যায় কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন খোদ প্রধান শিক্ষক।&nbsp;</p>
<p>বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস উচ্চ বিদ্যালয়। শীর্ষ আদালতের রায়ে এই স্কুলের ইতিমধ্যে ১৫ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। গতকাল স্কুল চলাকালীন আদালতের এই রায় আসার পরেই কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এদিন তাঁদের কেউ এই স্কুলে উপস্থিত হননি। ফলে স্কুল পরিচালনা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলে ত্রৈমাসিক মূল্যায়নের প্রথম পরীক্ষা চলছে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত। ফলে প্রধান শিক্ষককে ক্লাস রুমে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। &nbsp;</p>
<p>বর্তমানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি প্রায় ২২০০ পড়ুয়া আছে। প্রধান শিক্ষককে নিয়ে মোট &nbsp;৪১ জন শিক্ষক স্কুলে পঠনপাঠনের দায়িত্ব ছিলেন। তার মধ্যে ১৫ জনের চাকরি চলে যাওয়ায় আতান্তরে স্কুল। বিজ্ঞান বিভাগের অবস্থা খুব শোচনীয়। কারণ ১৫জন চাকরি হারার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৭জন শিক্ষকের চাকরি গেছে এই স্কুলে। এই স্কুলের ৪ জন্য অঙ্ক শিক্ষকের মধ্যে ৩জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি জীবন বিজ্ঞানে ৪জন শিক্ষকের মধ্যে ৩জন এবং ভৌত বিজ্ঞানের ৩জন শিক্ষকের মধ্যে ১জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। অন্যদিকে ইংরাজি বিভাগে ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪জন শিক্ষক, ইতিহাসে ৩জন শিক্ষকের মধ্যে ২জন, ভূগোলে ৪জনের মধ্যে ১জন &nbsp;এবং হিন্দিতে ৮জনের মধ্যে ১জনের চাকরি গেছে।</p>
<p>প্রধান শিক্ষক বিশাল তিওয়ারি জানান, "আমি ১৫জন শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম যতক্ষণ না সার্কুলার আসে ততদিন আপনারা স্কুলে আসুন। কিন্তু তাঁরা আসেননি। বিজ্ঞান বিভাগে খুব অবস্থা খারাপ। কীভাবে স্কুল চালাব, তা নিয়ে কিছু ভেবে পাচ্ছি না।” তিনি আরও জানান, "আংশিক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করব। যদিও তার ফান্ড স্কুলে নেই। স্কুলের প্রাক্তনীদের নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় কি না তার জন্য পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে দেখব। আমরা তিনভাগের একভাগ শিক্ষককে হারিয়েছি তাই আমাকে প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি ম্যানেজমেন্টের কাজ ক্লাস নেওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি-র সমস্ত কাজই করতে হবে।”</p>
<p>আদালতের রায়ে শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার পর চিন্তিত অভিভাবকরাও। অভিভাবক যোগেন্দ্র প্রসাদ জানান, "এই স্কুলে ৪১ জনের ভেতর ১৫ জন শিক্ষক বাদ হয়ে গেছেন। কিন্তু বাচ্চারা তো কিছু দোষ করেনি। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? তাই প্রশাসন বিচারব্যবস্থা ও আদালতকে অনুরোধ এ বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন।”</p>



Source link