# Tags
#Blog

চাকরি বাতিল মামলায় নতুন করে পরীক্ষার দাবি বিকাশের, কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা ?

চাকরি বাতিল মামলায় নতুন করে পরীক্ষার দাবি বিকাশের, কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা ?
Listen to this article



<p><strong>কলকাতা :</strong> ‘পুরো প্যানেল বাতিল করে যাঁরা ২০১৬-য় এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন, তাঁদেরই শুধুমাত্র পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক।’ SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় এদিন <a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://bengali.abplive.com/topic/supreme-court" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি পর্বে এমনই সওয়াল করলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। &nbsp;</p>
<p>৬ বছর শিক্ষকতা করার পর এই দাবি ওঠায়, এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শিক্ষকরা তথা ওই প্যানেলে চাকরিপ্রাপকরা। এ প্রসঙ্গে এক শিক্ষিকা বলেন, নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। কারণ, আমরা একটা পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে পাস করে নিযুক্ত হয়েছি। তার পরেও যে বিভিন্ন ভেরিফিকেশন হয়েছে, সেখানেও ডকুমেন্ট দিয়েছি। এমনকী সিবিআই ভেরিফিকেশনেও ডকুমেন্ট দিয়েছি। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসার কোনও প্রশ্নই নেই। যিনি নতুন করে পরীক্ষায় বসার কথা বলেছেন অর্থাৎ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর প্রতি আমার প্রশ্ন, ‘তাঁকে নতুন করে <a title="মাধ্যমিক" href="https://bengali.abplive.com/topic/wb-madhyamik" data-type="interlinkingkeywords">মাধ্যমিক</a> পরীক্ষা দিতে বললে তিনি কি পাস করতে পারবেন ?’ অপর এক শিক্ষিকা বলেন, ‘তাঁর সময় যে এরকম দুর্নীতি হয়নি, সেটারই বা কী প্রমাণ রয়েছে। তখন যে দুর্নীতি হয়নি তা তো আমরা কেউ দেখতে যাইনি। তিনি যে কোনও দুর্নীতির মাধ্যমে এ জায়গায় পৌঁছায়নি এনিয়ে আমাদের কাছেও কোনও প্রমাণ নেই।’ অপর আরও এক শিক্ষিকা বলেন, ‘উনি রি-এক্সামিনেশনের কথা বলছেন, উনি দাবি রাখতেই পারেন। কিন্তু, আমাদের এখানে বক্তব্য, এই দাবিটা তাঁদের ক্ষেত্রে রাখা হোক যাঁরা বেআইনি ক্যান্ডিডেট। যাঁরা বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের তো শনাক্ত করা হয়েছে।’&nbsp;</p>
<p>এদিন শুনানিপর্বে বিকাশরঞ্জনের পরিষ্কার বক্তব্য, ‘এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। এই দুর্নীতি এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে কেউ অবৈধ নিয়োগ খুঁজে বের করতে না পারে। হাইকোর্টে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য এটা বার করা সম্ভব হয়নি। এমনভাবেই দুর্নীতি হয়েছে যাতে কতজন পরীক্ষার্থী অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন এটা বার করা সম্ভব হয়নি।’ ‘মন্ত্রীর থেকে সোনা ও গয়না ছাড়াও ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল’, বলে আদালতে সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তাঁর সওয়ালের স্বপক্ষে জাস্টিস বাগ কমিটির দেওয়া তথ্যও তুলে ধরেন তিনি। বেআইনি নিয়োগের সংখ্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিকাশ। তখন প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘এটাই কি নির্দিষ্ট সংখ্যা ?’ তখন আইনজীবী বিকাশ জানান, ‘না, নির্দিষ্ট সংখ্যাটি বোর্ডও বলতে পারেনি। বোর্ড জানিয়েছে এটি এখনও পর্যন্ত পাওয়া সংখ্যা। ৪ ধরনের পদের জন্য পদের সংখ্যার থেকেও বেশি নিয়োগ হয়েছে। এই বাড়তি চাকরি কারা পেয়েছে কীভাবে চিহ্নিত করা হবে।'</p>
<p>এ সময়ই তিনি সওয়াল করেন, ‘সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করে নতুন ভাবে নিয়োগ করা উচিত।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নতুনভাবে নিয়োগ মানে অনেক জটিলতা।’ তাতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরো প্যানেল বাতিল করে যাঁরা ২০১৬-য় <a title="এসএসসি" href="https://bengali.abplive.com/topic/ssc" data-type="interlinkingkeywords">এসএসসি</a> পরীক্ষায় বসেছিলেন, তাঁদেরই শুধুমাত্র পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক।'</p>
<p>দুই ঘণ্টার শুনানিতেও এনিয়ে কোনও উত্তর না মেলায় ১০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকের কী ভবিষ্যৎ ? তা জানতে এখনও করতে হবে অপেক্ষা।&nbsp;</p>



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal